
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল
আরও পড়ুন
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল। খবরটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন এ সঙ্গীতশিল্পী। এ ব্যাপারে নিজের লিখিত বক্তব্য তিনি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে এসডি রুবেল বলেন, আওয়ামী লীগ উপকমিটি নিয়ে যা লেখা হয়েছে সেটি একেবারেই কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও বিবেকবর্জিত। আমি শুরু থেকেই পূর্ণমাত্রায় একজন পেশাজীবী সঙ্গীতশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী।
বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে বাংলা গানকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছি। আমি কখনও বিএনপি কিংবা জাসাসসহ দলটির কোনো অঙ্গ-সংগঠনের রাজনৈতিক পদের জন্য আবেদন করিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাকে বারবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমি বারবারই সবিনয়ে দলটির হাইকমান্ডকে রাজনীতি করব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিএনপির ২-১ জন জাসাস নেতা আমার সাংস্কৃতিক ক্যারিয়ারকে কলুষিত করার জন্য আমার অনুমতি ব্যতিরেকে আমার নাম জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আমি ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। এটাও মিথ্যাচার। সেখানে পড়াকালীন সাধারণ ছাত্রের মতোই আমি ছিলাম। বরং আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম এবং নির্বাচন করেছিলাম।
১৯৯৮-৯৯ সালে আমার লেখা, সুর ও কণ্ঠে ‘পরিচয় বাঙালি’ এ গানটি গাওয়ার জন্য ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশ টেলিভিশনে একমাত্র আমাকেই লিখিতভাবে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে আমার লেখা, সুর ও গাওয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতার মুক্তি অসাধারণ অবদানকে সম্মান জানিয়ে একটি গান গেয়েছি।
এ কারণে বিভিন্ন মহলের প্রতিহিংসার শিকারও হচ্ছি। আমি এক কথায় বলতে চাই, সঙ্গীতশিল্পী এসডি রুবেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার সাংস্কৃতিক স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। যেখানে পদ ও পদবি মুখ্য নয়। শিল্পী হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা থাকবে অমলিন আমৃত্যু।’