সিরাজ হায়দার কী ছিলেন সেটি আমরা সবাই জানি। এখনও প্রতিটি ছবিতে তাকে দেখতে পান দর্শক। আমরা এফডিসি গেলেই তাকে পেতাম। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকত তার। চলচ্চিত্রের জন্য কতটা ভালোবাসা থাকলে এ বয়সেও প্রতিদিন শুটিংয়ে দৌড়াতে পারে! আমাদের বয়স হয়েছে। সবাই চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। তবে সিরাজ হায়দারকে দেখে কখনই মনে হয়নি তিনি এত দ্রুত চলে যাওয়ার মানুষ। অথচ তিনিই আমাদের আগে চলে গেলেন। একজন সিরাজ হায়দারের জন্য ইন্ডাস্ট্রিকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়।
চিত্রনায়ক ফারুক
গতকাল সকালেই গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে খবরটি পাই। এমন খবর এলে খুব খারাপ লাগে। আমরা এখন এফডিসিতে নিয়মিত যেতে পারি না। শুটিং করতে পারি না। সব সময় নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। অথচ সিরাজ হায়দার কত কর্মমুখর ছিলেন। যতদূর জানি সুস্থও ছিলেন তিনি। নিয়মিত শুটিং করতেন। চলচ্চিত্রের জন্য তার মতো লোকের অনেক দরকার। অথচ চলচ্চিত্রের ভালো মানুষগুলোই চলে যাচ্ছেন। দোয়া করি আল্লাহ তাকে ওপারে শান্তিতে রাখুক।
চিত্রনায়ক সোহেল রানা
ঘুম থেকে উঠেই সকালে এমন একটি খরব শুনতে হবে ভাবতেই পারিনি। তার সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। এখনও প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর একজন মানুষ ছিলেন। চারশরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এটা কি কম কথা! এমন একজন মানুষ হারানো মানে আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। তার মতো মানুষ আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ। যেখানেই থাকুক স্রষ্টা যেন তাকে ভালো রাখেন এ কামনাই করি।
চিত্রনায়ক আমিন খান
সিরাজ হায়দার ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকাই ছবির কে কাজ করেননি? তার সময়জ্ঞান দেখে মুগ্ধ হতাম। চলচ্চিত্রকে মন থেকে ভালো বাসতেন তিনি। বছরের শুরুতেই তাকে হারানোর খবর আসবে এমনটি কখনই ভাবিনি। তার সঙ্গে অনেক ছবিতেই কাজ করেছি। বেশিরভাগই আমার অভিভাবকের চরিত্রে পেয়েছি। এই মুহূর্তে বিশেষভাবে মনে পড়ছে আমার অভিনীত আলোচিত ছবি ‘হাজার বছর ধরে’ ও ‘মনের মাঝে তুমি’তেও তিনি ছিলেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে শান্তিতে রাখেন।
চিত্রনায়ক রিয়াজ