ছবি: সংগৃহীত
শীত এখন শহরেও জাঁকিয়ে বসছে। শীতের প্রকোপ যত বাড়তে থাকে, বাসা-বাড়ির তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে একটু আরামপ্রদ উষ্ণতা পেতে মানুষ হিটার আনেন রুমে। যা মাঘের শীতেও ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে।
ঘরের যন্ত্রটি কেনার সময় বেশকিছু বিষয় যাচাই করা উচিত। যা জানা থাকলে আপনার নিরাপত্তার পাশাপাশি ভালো থাকাও নিশ্চিত হবে। সাশ্রয় হবে অনেক কিছুতে।
গরম করার ক্ষমতা
হিটার কেনার পেছনে মূল কারণ যেহেতু ঘর গরম করা, তাই প্রথমেই যন্ত্রটির ক্ষমতা কতটুকু, তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রতি বর্গফুট গরম করার জন্য ন্যূনতম ১০ ওয়াট ক্ষমতার দরকার হয়। সে অনুযায়ী ছোট একটি ঘরের জন্য ন্যূনতম ৬০০ ওয়াট হিটারের প্রয়োজন হবে। জায়গার তুলনায় কম ক্ষমতার হিটার নিলে সঠিক মাত্রায় উষ্ণতা পাওয়া যাবে না, আবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিদ্যুৎ অপচয় হবে।
নিরাপত্তা
বাজেট যেমনি হোক না কেন, এ ধরনের ঘরের জিনিস কেনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে আপস করা উচিত নয়। অত্যাধিক তাপ সুরক্ষা, টিপ-ওভার সুইচ এবং অন্তর্নির্মিত থার্মাল ফিউজ থাকা হিটারগুলো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আগুন লাগার ঝুঁকি হ্রাস করে।
বিদ্যুতের ব্যবহারের কার্যকারিতা
সর্বোচ্চ মাত্রার উষ্ণতা দেওয়ার জন্য হিটারটি কতটুকু বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করছে, তা জানা জরুরি। এনার্জি-এফিশিয়েন্ট হিটারগুলো বিদ্যুৎ বিল সংরক্ষণ করে। থার্মোস্ট্যাট এবং ইকো-এনার্জি মোড সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, যাতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ শক্তি নষ্ট না হয়।
শব্দের মাত্রা
হিটার নির্বাচনের সময় আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর শব্দ। সিরামিক প্রযুক্তি বা সাইলেন্ট অপারেশন মুডের মডেলগুলো ঘরের মধ্যে শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। অবশ্য পুরাতন ডিজাইনের ফ্যান হিটারগুলোর আওয়াজ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় থাকে না। এদিক থেকে অত্যাধুনিক ডিজাইনগুলো অনেকটা এগিয়ে।