Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

কোলবালিশ উপকারী না ক্ষতিকর, যা বলছেন গবেষকরা

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৩ এএম

কোলবালিশ উপকারী না ক্ষতিকর, যা বলছেন গবেষকরা

ছবি: সংগৃহীত

আরাম করে গা এলিয়ে ঘুমানোর সঙ্গে কোলবালিশের এক অদৃশ্য সুতোর যোগ আছে। একটি পেলেই আরও একটি প্রয়োজন বোধ হতে থাকে। গবেষণা বলছে, অভ্যাসটি নেহাৎ খারাপ নয়। বরং কোলবালিশ আরাম দেওয়ার পাশাপাশি তাকে জড়িয়ে ধরে শোয়া মানুষটির অজান্তে কিছু বাড়তি উপকারও করছে। যদিও সেই উপকার সত্যিই হচ্ছে কি না, তা নির্ভর করবে কীভাবে কোলবালিশকে জড়িয়ে ধরা হচ্ছে তার ওপর।

গবেষকরা বলছে, শিরদাঁড়ার স্বাস্থ্য নির্ভর করে শোয়ার ধরনের ওপর। ঘুমনোর সময় দীর্ঘক্ষণ শিরদাঁড়া বিশ্রামে থাকে। সেই বিশ্রাম কীভাবে হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। 

তারা বলছেন, পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় যে পা টি উপরের দিকে থাকছে, সেটি যদি নীচের পায়ের থেকে কিছুটা উঁচু করে রাখা যায়, তবে তাতে শিরদাঁড়া ভালো থাকে। 

গবেষণা সংক্রান্ত ওই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য স্পাইন জার্নাল’ এবং ‘দ্য জার্নাল অব ভাস্কুলার সার্জারি’তে। ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিৎসক আর আর দত্ত বলছেন, বেশির ভাগ মানুষই ঘুমানোর সময় কোনো এক পাশে ফিরে ঘুমান। কিন্তু ঘুমানোর সময় যদি দু’টি পা এবং পায়ের হাঁটু পরষ্পরের সঙ্গে ঠেকে থাকে তবে, দীর্ঘদিনের ওই অভ্যাসে শিরদাঁড়ার নীচের অংশ বা কোমরের নীচের হাড় বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দু’টি পায়ের মাঝখানে যদি পাশবালিশ থাকে তবে হাঁটু দুটি পরষ্পরের সঙ্গে ঠেকে থাকে না। শিরদাঁড়া বা কোমরের নীচের হাড় অথবা পেশির ওপর অনাবশ্যক চাপও পড়ে না।

পাশ ফিরে শোয়ার সময় হাঁটুতে হাঁটু ঠেকে গেলে পেশির ওপর যে চাপ পড়ে তা না পরলে, সায়াটিকা, আর্থ্রারাইটিসের মতো সমস্যাও দূরে থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক দীপক কুমার মহারাণাও। 

তিনি বলছেন, ওইভাবে পায়ের মাঝখানে বালিশ দিয়ে শোয়ার উপকার মিলবে পরবর্তীকালে। নাছোড় ব্যথার রোগ এবং পেশি দৌর্বল্যের ঝুঁকিও কমবে।

অর্থাৎ কোলবালিশ নিয়ে শোয়ার অভ্যাস খারাপ নয় মোটেই। বরং দেখা যাচ্ছে তা উপকারীই। তবে কোলবালিশ কেবল পাশে নিয়ে শুলে লাভ হবে না। কোলবালিশে পা রেখে ঘুমোলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম