ছবি: সংগৃহীত
খুব কাছে থেকে হাতছাড়া হয়েছে ট্রফি, তারউপর ট্রল। আলেক্সান্দার জভেরেভের দিনটি মোটেও ভালো যায়নি। গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে হেরেছে জার্মান তারকা জভেরেভ। সেদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে পড়েন বড় বিপাকে। জভেরেভকে তার সাবেক দুই প্রেমিকার নাম নিয়ে বিদ্রুপ করা হয় ভরা স্টেডিয়ামে। বিষয়টিতে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েন জভেরেভ।
ঘটনার শুরু ফাইনাল শেষে। জভেরেভ এসেছিলেন কথা বলতে। ঠিক তখনই একজন মহিলার কণ্ঠ স্টেডিয়াম থেকে ভেসে আসে, ‘অলিয়া এবং ব্রেন্ডাকেই বিশ্বাস করে অস্ট্রেলিয়া!’ তাতে মুহূর্তের জন্য ভাঙে রড় লেভারের নিরবতা। বিব্রত জভেরেভকে বাচাতে দর্শকরা তখন শিষ বাজান এবং একসঙ্গে হাততালি দিতে থাকেন। এই অলিয়া ও ব্রেন্ডা মূলত জভেরেভের সাবেক প্রেমিকা।
জভেরেভের বিরুদ্ধে কি ধরনের অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক প্রেমিকারা? অলিয়া শারাপোভা নামে এক টেনিস খেলোয়াড়ের সঙ্গে জভেরেভের সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালে অলিয়া অভিযোগ আনেন, তার মুখ ঘুসি মেরেছেন জভেরেভ। বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টাও করেছেন। যদিও অলিয়া পুলিশের কাছে জাননি। তবে তার কথার ভিত্তিতে তদন্ত করে এটিপি। কিন্তু প্রমাণের অভাবে জভেরেভকে শাস্তি দেওয়া যায়নি।
এরপর ব্রেন্ডা পাতেয়া নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান জভেরেভ। একটি কন্যাসন্তানও হয় তাদের। কিন্তু জভেরেভের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনেন ব্রেন্ডাও। জার্মান টেনিস তারকার বিরুদ্ধে দায়ের হয় ফৌজদারি মামলা। ২০২৩ সালে জভেরেভকে বিরাট অঙ্কের জরিমানা করে আদালত। যদিও এই রায়কে নস্যাৎ করে দেন তিনি। পরে আদালতের বাইরে অর্থের বিনিময়ে গোটা ব্যাপারটির নিষ্পত্তি হয়। যদিও জভেরেভকে নির্দোষ তকমা দেয়নি আদালত।সবশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে তাকে এই বিষয়ে আক্রমণ করা হয়। যদিও ওই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি জভেরেভ। তবে তার মনে এই ঘটনা নিশ্চয় দাগ কেটে যাবে। ওই মহিলার সেই চিৎকারের ভিডিওটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ কেউ পুরোনো ওই ঘটনা টেনে জভেরেভকে সরাসরি আক্রমণও করছেন।