
প্রিন্ট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
জেনারেটিভ এআই: স্মার্টফোন শিল্পের নতুন যুগ

আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (জেনএআই) এক নতুন যুগের সূচনা করছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী বিক্রিত স্মার্টফোনের এক-তৃতীয়াংশে থাকবে জেনএআই প্রযুক্তি। ৪০ কোটি ইউনিটের বেশি স্মার্টফোনে এ উদ্ভাবনী ফিচার যুক্ত হবে।
জেনারেটিভ এআই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আগের চেয়ে আরও বুদ্ধিমান, স্বয়ংক্রিয় ও কার্যকরী অভিজ্ঞতা পাবেন। উন্নত চিপসেট ও লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) বিকাশের ফলে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে এটি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৫ সাল থেকে মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোনেও দ্রুত এ প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। এআই প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ স্মার্টফোন শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে। এটি শুধু ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করছে না, বরং এআই-ভিত্তিক অ্যাপ ও পরিষেবার ব্যবহারও বৃদ্ধি করছে।
জেনএআই স্মার্টফোনগুলো বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি, স্বয়ংক্রিয় উত্তর প্রদান এবং আরও উন্নত পারসোনালাইজেশন সুবিধা দেবে। বিগত বছরগুলোতে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো তাদের ডিভাইসে জেনএআইকে মূল বৈশিষ্ট্য হিসাবে তুলে ধরেছে। অ্যাপল ও স্যামসাং ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ও গ্যালাক্সি এআইয়ের মতো প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে জেনএআই প্রযুক্তি আরও সাশ্রয়ী হবে এবং চীনা ব্র্যান্ড ভিভো, অপো, শাওমি ও অনর মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোনে এটি অন্তর্ভুক্ত করবে। এতে স্মার্টফোনের সামগ্রিক বিক্রি আরও বৃদ্ধি পাবে।
শুধু স্মার্টফোনেই নয়, প্রযুক্তি শিল্পেও ২০২৫ সালের মধ্যে জেনএআইয়ের ব্যাপক ব্যবহার হবে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ডিমান্ডসেইজ। ওপেনএআই, মিডজার্নি, লাইট্রিকস, হাগিং ফেসের মতো প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি, বার্ড, জ্যাসপার এআইয়ের মতো প্রযুক্তি তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জেনএআইয়ের পরবর্তী উদ্ভাবন হিসাবে এজেন্টিক এআইকে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা স্মার্টফোনে আরও স্বতন্ত্র, পরিস্থিতি সচেতন ও কার্যকর এআই অভিজ্ঞতা দেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এআইয়ের অগ্রগতি যেমন লেখা, ছবি তৈরি, কথা বলা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ আরও স্বয়ংক্রিয় ও বুদ্ধিমত্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।