আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
-67cabb61c9298.jpg)
আপনাকে লুকিয়ে আপনারই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কেউ ব্যবহার করছে না তো? বিষয়টি আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য খুবই জরুরি। হোয়াটসঅ্যাপে অন্য কেউ নজর রাখলে যেকোনো বিপদ ঘটে যেতে পারে।
আপনারই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ ঢুঁ মারছে কিনা, তা বুঝতে হলে অ্যাকাউন্টের ওপরের ডান দিকে গিয়ে তিনটি ডটে ক্লিক করুন। এবার স্ক্রল করে ‘লিঙ্কড ডিভাইস’ অপশনে যান। সেটিতে ক্লিক করে দেখুন কী কী ডিভাইস আপনার হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। যদি দেখেন অজানা কোনো নম্বর বা ব্রাউজারের সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত হয়ে আছে, তা হলে সেটি লগ আউট করে দিন। যদি আপনার নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজারের পাশাপাশি আরও একাধিক ডিভাইস সংযুক্ত দেখায়, তা হলে সবকটিই বন্ধ করে দিন।
যে নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপ সুরক্ষিত থাকবে—
১. একাধিক ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব খুলে রাখবেন না। ব্যবহারের পর প্রতিটি ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগ আউট করতে হবে।
২. কম্পিউটারে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ পেজটির ডান দিকে একেবারে কোণে তিনটি ডট থাকে। সেখানে ক্লিক করতে হবে। সেখানে রয়েছে ‘সেটিংস’ মেন্যু। সেখান থেকে ‘প্রাইভেসি’-তে গিয়ে ‘স্ক্রিন লক’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার স্ক্রিনে একটি মেসেজ বক্স ফুটে উঠবে। সেখানে ক্লিক করে নিজের পছন্দমতো পাসওয়ার্ড দিন। এভাবে স্ক্রিন লক করে রাখতে পারবেন। তাতে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়লেও চ্যাটবক্স ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩. হোয়াটসঅ্যাপের সব চ্যাটই অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে সুরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ তৃতীয় পক্ষ সেই কথোপকথন দেখতে পাবে না। যদি চ্যাট সুরক্ষিত রাখতে হয়, তা হলে টু স্টেপ বা দ্বিস্তর ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। তার জন্য প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট এবং তার থেকে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে দিলেই হবে। এটা আপনার অ্যাপে একটা বাড়তি সুরক্ষাবলয় যোগ করবে একটি পিনের মাধ্যমে।
৪. আপনার ডিভাইসটি যেভাবে প্যাটার্ন বা ফিঙ্গার প্রিন্ট লক করতে পারেন, ঠিক একইভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ফিঙ্গার প্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়ে লক করে রাখা যেতে পারে।
৫. হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইলে আসা কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার মোবাইলে ম্যালঅয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। একবার সেটি হলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তো বটেই, অজান্তে আপনার ফোনটিও অন্যের নজরদারিতে চলে যাবে।