Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

১৪ বছর পর বন্ধ হচ্ছে স্কাইপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম

১৪ বছর পর বন্ধ হচ্ছে স্কাইপ

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলার পর বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম স্কাইপ। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) একাউন্টের তথ্যের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। 

সিএনএন বলছে, একসময়ের যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপ মে মাস থেকে আর ব্যহারযোগ্য থাকবে না। ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করা স্কাইপ এক সময় মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল। মাইক্রোসফট ২০১১ সালে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারে মাধ্যমটি কিনেছিল। মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ ছিল এটি। পরে তারা স্কাইপকে তাদের মোবাইল ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করে। 

বলা হয়েছে, বেশ কয়েকবার স্কাইপের ডিজাইন বদলেছে টেক জায়ান্ট সংস্থাটি। গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফটও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিল মাধ্যমটি নিয়ে। এছাড়া স্কাইপ ক্লিপসের মত নতুন ফিচারও এনেছিল। 

১৪ বছর পর স্কাইপ বন্ধ করার কারণ হিসাবে মাইক্রোসফট জানায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কাইপের জনপ্রিয়তা কমেছে। যদিও মহামারীর সময়ে এটি জুম, গুগল মিট, ফেসটাইম, হোয়াটসঅ্যাপ ও অ্যাপলের ফেসটাইমের তুলনায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। 

কোম্পানিটি জানায়, মাইক্রোসফট টিমসে অনেক বিনিয়োগ রয়েছে যা স্কাইপের মতোই একই সেবা প্রদান করে। ফলে স্কাইপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কোম্পানি।

মাইক্রোসফটের সহযোগী অ্যাপস মাইক্রোসফটের ৩৬৫ প্রেসিডেন্ট জেফ টেপার একটি ব্লগ পোস্টে বলেছেন, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গঠন এবং অসংখ্য অর্থবহ মুহূর্তকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে স্কাইপ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এবং আমরা এই যাত্রার অংশ হতে পেরে নিজেরা সম্মানিত। আমাদের টিম যে নতুন সুযোগগুলো নিয়ে এসেছে তাতে আমরা উত্তেজিত এবং আপনাকে আমাদের সঙ্গে  সংযুক্ত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

২০০৩ সালে প্রথম এস্তোনিয়ায় স্কাইপ চালু হয়। দ্রুত সময়ে বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে কল করার একটি উপায় হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ সেই সময়ে ফোনে আন্তর্জাতিক কল ব্যয়বহুল ছিল। এই পরিষেবাটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে ইবে ২০০৫ সালে ২.৬ বিলিয়ন ডলারে এটি কিনে নেয়। তবে, এই অংশীদারিত্ব কার্যকর হয়নি।  ইবে ২০০৯ সালে স্কাইপে তার ৬৫% শেয়ার একটি বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করে ১.৯ বিলিয়ন ডলারে।  তারপর মাইক্রোসফট ২০১১ সালে এটি কিনে নেয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম