Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

বড় চ্যালেঞ্জ নেবে ডিপসিক এআইয়ের উদ্ভাবনী ও যুগান্তকারী অগ্রগতি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

বড় চ্যালেঞ্জ নেবে ডিপসিক এআইয়ের উদ্ভাবনী ও যুগান্তকারী অগ্রগতি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ডিপসিক এআইয়ের উদ্ভাবনী পদ্ধতি ও যুগান্তকারী অগ্রগতির মাধ্যমে সবার মনোযোগ কেড়েছে। এর অনন্য বিষয় হচ্ছে- এআই বিকাশের কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবেলার সক্ষমতা। একটি চ্যালেঞ্জ হলো ডেটা।

ডিপসিক এআইয়ের যাত্রা, অর্জন ও এর সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ।

উচ্চমানের নির্ভুলতা বজায় রেখে বিভিন্ন ছোট আকারের ডেটাসেটের সঙ্গে কাজ করার জন্য নানা টুল তৈরি করেছে স্টার্টআপটি। যার মানে, তাদের বিভিন্ন এআই মডেল দ্রুত ও কম সংস্থান নিয়েও শিখতে পারে। আর এ বিষয়টিই আরও ব্যবসা ও শিল্পের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে স্টার্টআপটিকে।

এআইকে আরও স্মার্ট, দ্রুত ও অভিযোজনযোগ্য করার মিশন নিয়ে শুরু হয়েছিল ডিপসিক এআইয়ের যাত্রা। এআই প্রযুক্তি কিভাবে তথ্য শেখে ও তা প্রক্রিয়া করে সে বিষয়টি উন্নত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন এর নির্মাতারা, যা আরও দক্ষ এআই সিস্টেম তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এর মূলে রয়েছে- ডিপ লার্নিংয়ে বিশেষজ্ঞ স্টার্টআপটি। এআইয়ের একটি শাখা হচ্ছে ডিপ লার্নিং, যা এআইয়ের বিভিন্ন মেশিনকে প্যাটার্ন চিনতে ও মানুষের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে, তা অনুকরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে প্রশিক্ষণ দেয়। যারা কখনও ‘ফেইস রিকগনিশন’ অ্যাপের ব্যবহার বা কোনো ভাষা অনুবাদ টুলের উপর নির্ভর করেছেন তারা এরই মধ্যে ডিপ লার্নিংয়ের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানেন।

বিভিন্ন একাডেমিক কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতায় করা গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ এআই সিস্টেমের তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম শক্তি ব্যবহার করে স্টার্টআপটির বিভিন্ন মডেল। একই রকম বা এর চেয়ে বেশি কর্মক্ষমতাও দেয়।

ডিপসিক এআইয়ের অগ্রগতির পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে- এর অভিযোজন যোগ্যতা। ডিপসিক এআই এমন মডেল তৈরি করেছে, যা দ্রুত নতুন ডেটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ফলে এ বৈশিষ্ট্য অন্যান্য এআই মডেল থেকে ডিপসিককে আরও নির্ভরযোগ্য ও বহুমুখী করে তুলেছে।

এআই বিকাশে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতাকেও অগ্রাধিকার দিয়েছে স্টার্টআপটি। এআই যত শক্তিশালী হচ্ছে- ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে উদ্বেগও ততই বেড়েছে। নিজেদের বিভিন্ন এআই অ্যালগরিদমকে সবার বোধগম্য ও ন্যায্য করার নানা উপায় নিয়ে সক্রিয়ভাবে গবেষণা করছে ডিপসিক, যাতে এরা অনিচ্ছাকৃতভাবে বৈষম্য বা ক্ষতিকর কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় তা-ও নিশ্চিত করেছে স্টার্টআপটি।

এ কাজটি নিয়োগ বা ঋণ অনুমোদনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, যেখানে গুরুতর পরিণতি ঘটাতে পারে পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন এআই সিস্টেম। ন্যায্যতার ওপর নজর দিয়ে দায়িত্বশীল এআই মডেল বিকাশের জন্য নতুন মান নির্ধারণে সহায়তা করছে এই ডিপসিক এআই।

বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন শিল্প নেতারা ডিপসিক এআইয়ের সম্ভাবনার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। বড় বড় উদ্যোগের বিভিন্ন মূলধন কোম্পানি থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে স্টার্টআপটি। পাশাপাশি গোটা বিশ্বের কাছে এর নানা সমাধান পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের সঙ্গে পার্টনারশিপও করেছে এটি।

ডিপসিক এআইয়ের এমন অগ্রগতি থেকে ইঙ্গিতে মেলে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত কেবল আরও স্মার্ট মেশিন তৈরি সম্পর্কে নয়, বরং প্রযুক্তিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, শক্তি সাশ্রয়ী ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সমন্বয় করে তোলার বিষয়েও।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম