Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসাবে অন্তর্ভুক্তির দাবি

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম

সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসাবে অন্তর্ভুক্তির দাবি

ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল দুনিয়ায় তথ্যসুরক্ষায় সংবিধানের ৪৩-এর খ ধারা সংশোধন করে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সঙ্গে একমত হয়ে খাত সংশ্লিষ্টরা মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি এ প্রযুক্তি এবং ডেটা উন্মুক্ত রাখতে সরকারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা উচিত বলে মতামত ব্যক্ত করেন।

গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রযুক্তি বিশ্লেষক ফাহিম মাশরুর, তানভীর হাসান জোহা, আইআইজিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, আইএসপিএবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাইয়ুম রাশেদ, প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।

আমিনুল হাকিম বলেন, রাষ্ট্রের ৪র্থ ও ৫ম মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিকল্প নেই। তাই এ নিয়ে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সাফাই গাইতে নয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ডের দাম কম। এ দাম আরও কমিয়ে আনতে এনটিটিএন ও ট্রান্সমিশন সবচেয়ে বড় বাধা। সরকার ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অবকাঠামো দুটি বেসরকারি এনটিটিএনের কাছে জিম্মি রয়েছে। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার মতো এটিও সরকারের কাছে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করতে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র যেন এক্ষেত্রে ইন্টারফেয়ার না করে সে বিষয় গুরুত্বারোপ করেন ফাহিম মাশরুর। তিনি বলেন, ওটিটিকে বেক্সিমকোর মতো কোম্পানির জন্য অ্যাকসেস দেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে এনটিটিএন-কে সরকারই মনোপোলি ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছে। বিভিন্ন লেয়ারের বাধা তুলে দিলে ইন্টারনেটের দাম ২৫ শতাংশ কমে যাবে। তবে ইন্টারনেটের দাম কমাতে এবং নাগরিকের তথ্য সুরক্ষায় ‘ফোন ট্যাপ’-এর নিয়ম-কানুনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইভাবে এনটিএমসি এখনো বিলুপ্ত না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ফাহিম মাশরুর।

ইন্টারনেট ব্যবসাটি প্রফেশনাল করার আহ্বান জানিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, যে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই আর্টিকেল ৭০ মাইন্ডসেটে রয়েছে। তাই ১৫ দিন ইন্টারনেট বন্ধ করে ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এতে সরকারের কিছু যায় আসে না। তাই জালাল উদ্দিন রুমীর ভাষায় ‘চালাক’ ছিলাম থেকে ‘বুদ্ধিমান’ হওয়া দরকার। তিনি বলেন, সংবিধানের এ আর্টিকেল নিয়ে সিরিয়াসলি আলোচনা হওয়া দরকার। ইন্টারনেট মাইন্ডসেটের লড়াই। এ ব্যবসায় চাঁদাবাজ ও রাজনৈতিক ল্যাসপেন্সাররা জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাট্টা হতে হবে।

বাংলাদেশ গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদের (খ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকিবে। যেহেতু বর্তমানে চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যম আর নেই, তাই ই-মেইল হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা প্রযুক্তির অন্যান্য সব মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমনকি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে নাগরিকের প্রদেয় তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল বিন্যাসে নাগরিকের ডাটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি উল্লেখ থাকা অতি আবশ্যক বলে আমরা মনে করছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম