সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন কম-বেশি সবাই আসক্ত। নিজেদের ছবি আপলোডেও এই মাধ্যমগুলোতেই ঝুঁকে পড়ে লক্ষ-কোটি মানুষ। তবে অনলাইনে ছবি আপলোডের সময় সাত-পাঁচ ভাবেন না অনেকেই। ফলে একটি ছবি কাল হয়ে উঠতে পারে যে কারওর জীবনেই। কারণ আজকাল মেয়েদের আপলোড করা ছবি ব্যবহার করে তাদের হেনস্তা করছে বেশকিছু দুষ্টচক্র। এনমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের ফন্দিও আঁটছে তারা। আর এটি সম্ভব হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির এ এআইর টার্গেটে পড়েছে শিশুরাও।
মঙ্গলবার শিশুদের জন্য দাতব্য সংস্থা ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশনের (আইডব্লিউএফ) বরাত দিয়ে এমন তথ্যই তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
আইডব্লিউএফ বলেছে, পেডোফাইলরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিশুদের নগ্ন ছবি তৈরি করে। সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ভুক্তভোগীদের নিজেদের আরও ছবি পাঠানোর জন্য বাধ্য করে। পরে তাদের টাকা না দিলে সেই ছবিগুলো প্রকাশের হুমকি দেয় তারা। সম্প্রতি অনলাইনে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি খুঁজে বের করে সংস্থাটি।
আইডব্লিউএফের প্রধান নির্বাহী সুসি হারগ্রিভস বলেছেন, সুবিধাবাদী অপরাধীরা শিশুদের প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। বিপদগুলো চিহ্নিত করে এর সমাধান আনতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হারগ্রিভস আরও বলেছেন, শিশুদের যত্নে অনলাইন নিরাপত্তা আইন এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর বিশেষভাবে কাজ করা দরকার। নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনধাত বলেছেন, বাবা-মায়েদের উচিত তাদের সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেছেন, অপব্যবহার রোধ করতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা উচিত।