মহাকাশে অতি উজ্জ্বল সংকেতের উৎস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ এএম
২০২২ সালের অক্টোবরে মহাকাশে অতি উজ্জ্বল সংকেতের খোঁজ পাওয়া যায়। এ অতি উজ্জ্বল রশ্মিটিকে ডাকা হচ্ছে ‘বোট’ বা ‘ব্রাইটেস্ট অফ অল টাইম’ নামে। অতি উজ্জ্বল সংকেতের কোনো রহস্য ভেদ করতে পারছিলেন না বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি উজ্জ্বল গামা রশ্মির উৎস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আগে শনাক্ত করা যেকোনো গামা রশ্মির আলোচ্ছটার চেয়ে ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল এই ‘বোট’। এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে প্রতি ১০ হাজার বছরে কেবল একবারই দেখা যায় বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
গবেষকরা এখন নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সহায়তায় নিশ্চিত হয়েছেন, এটি বিশাল কোনো তারা খসে গিয়ে পরবর্তীতে তার বিস্ফোরণের ফলাফল। এর আগ পর্যন্ত গামা রশ্মিটির বিস্ফোরণ এতটাই উজ্জ্বল ছিল যে তারা এর উৎসই নিশ্চিত করতে পারেননি।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক ও এ গবেষণার নেতৃত্বে থাকা পিটার ব্ল্যানচার্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, যেহেতু সুপারনোভা নিজেই বিস্ফোরণের উৎস, তাই এ ঘটনাকে স্বাভাবিক হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
তবে গবেষণায় একটি রহস্য উন্মোচিত হলেও একে ঘিরে আরেকটি নতুন রহস্যও তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের প্রচলিত ধারণা ছিল, এমন বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে প্লাটিনাম ও স্বর্ণের মতো দামি উপাদানের উৎস সম্পর্কে ধারণা মিলবে। তবে এমন কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ড. ব্ল্যানচার্ড বলেন, আমরা যখন নিশ্চিত হয়েছি যে গামা রশ্মির বিস্ফোরণটি খসে যাওয়া বিশাল তারা থেকে ঘটেছে, তার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভারী উপাদানগুলোর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অনুমানমূলক পরীক্ষা চালানোর সুযোগ পেয়েছি আমরা। আমরা এইসব ভারি উপাদানের কোনো হদিস দেখতে পাইনি। এ থেকে ইঙ্গিত মেলে, বোটের মতো এমন অতি শক্তিশালী ‘জিআরবি (গামা রে বার্স্ট)’ থেকে এইসব উপাদান তৈরি হয়নি। আর ভবিষ্যতে জেমস ওয়েবের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হতে পারব, বোটের মতো অনুরূপ কোনো বিস্ফোরণ এদের উৎপত্তিস্থল কি না।
‘নেচার অ্যাস্ট্রনমি’ জার্নালে ‘জেডব্লিউএসটি ডিটেকশন অফ এ সুপারনোভা অ্যাসোসিয়েটেড উইথ জিআরবি ২২১০০৯এ উইদআউট অ্যান আর-প্রসেস সিগনেচার’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে বোট সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।