ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের স্মার্টফোন কেনার কথা যারা ভাবছেন গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন এ সেভেন্টি তাদের জন্যই উপযুক্ত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লাইভে আসা, স্লো-মো ও হাইপারল্যাপস ভিডিও ক্যাপচারের বিষয়গুলো এখন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই একটি ডিভাইস থাকাটাও বেশ জরুরি। এই দিকগুলো বিবেচনা করেই ডিভাইসটিতে চমৎকার ক্যামেরা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। 

ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে এর এফ২.২ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। গ্রুপে ছবি তুলতে গেলে কিংবা ল্যান্ডস্ক্যাপ ভিডিও ক্যাপচার করতে গেলে প্রশ্বস্ত জায়গা নেয়ার ক্ষেত্রেই ঝামেলা বাঁধে। 

তখন কোনো না কোন অংশ বাদ পড়ে যায়। এ সমস্যা অনায়াসে দূর করে দেয় ডিভাইসটির ১২৩ ডিগ্রির আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। এছাড়া এফ১.৭ অ্যাপারচারের ৩২ মেগাপিক্সেলের মূল লেন্স ছবিকে করে আরও বেশি প্রাণবন্ত। 

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ছবি তুলতে গেলে ফোনটির ক্যামেরা দক্ষতা সম্পর্কে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া এফ২.২ অ্যাপারচারের ৫ মেগাপিক্সেলের লাইভ ফোকাস দিয়ে পোর্ট্রেট ছবি তোলা যায় দুর্দান্ত। 

অন্যদিকে সেলফিপ্রেমিদের জন্য ফোনটি আরও চমৎকার। ফ্রন্টে দেয়া হয়েছে এ২.০ অ্যাপারচারের ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। 

ডিসপ্লের দিক দিয়ে বরাবরের মতো স্যামসাং দুর্দান্ত, আর এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ফোনটির সুপার অ্যামোলেড ৬.৭ ইঞ্চির ফুলএইচডি+ ইনফিনিটি-ইউ ডিসপ্লে সত্যিই অসাধারণ। 

ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, বায়োস্কোপ কিংবা হৈচৈ প্ল্যাটফর্মে হাই ডেফিনেশন ভিডিও ষ্ট্রিমিংয়ে দুর্দান্ত ডিসপ্লের অভিজ্ঞতা মিলেছে। স্যামসাং ফোনটি তৈরি করেছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫ অক্টা-কোর প্রসেসর দিয়ে। 

এছাড়া ফোনটিতে রয়েছে ৬ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি রম। ফলে মাল্টিটাস্কিং হয় কোনো ল্যাগিং ছাড়াই। ফোনটিতে একই সময়ে জনপ্রিয় সব অ্যাপ ব্যবহার ও গেম খেলা যায় সহজেই। 

এর প্রসেসিং ইউনিট খুব দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদনে সক্ষম। ফোনটিতে প্রসেসর, র‌্যাম ও রমের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে চমৎকারভাবে। এই ফোনে স্যামসাং ব্যবহার করেছে অ্যান্ড্রয়েড পাই ৯.০ ভিত্তিক ভিন্নধর্মী ও দ্রুত গতির স্যামসাং ওয়ান ইউআই। 

স্যামসাং ওয়ান ইউআই-এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি অত্যন্ত হালকা ঘরাণার, ফলে ফোনের ব্যাটারি খরচ হয় অনেক কম। বলা বাহুল যে, ইন্টারফেসটি সাজানো হয়েছে সহজে সৃষ্টিশীল ব্যবহারের বিষয়টিকে মাথায় রেখে।
 
ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ২৫ ওয়াটের সুপার-ফাস্ট চার্জিংসহ ইউএসবি-সি এবং এতে সফটওয়্যারের সমন্বয় এমনভাবে করা হয়েছে যাতে পুরোদমে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারী পাবেন বাধাহীণ অভিজ্ঞতা।
  
এক বছরের ওয়ারেন্টি বা বিক্রয়োত্তর সেবাসহ দেশের বাজারে মাত্র ৩৮ হাজার ৯৯০ টাকায় গ্যালাক্সি এ সেভেন্টি ক্রয় করা যাবে।