অবৈধ ও চোরাই হ্যান্ডসেট বন্ধে আইএমইআই ডাটাবেজ চালু
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:০৯ পিএম
অবৈধ ও চোরাই হ্যান্ডসেট বন্ধে আইএমইআই ডাটাবেজ চালু
অবৈধ ও চোরাই পথে মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করে বৈধ আমদানিকারক ও দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডাটাবেজ’ (নেইড) চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) আর্থিক সহায়তায় এই সিস্টেমটি চালু করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার বিটিআরসি ভবনে এ সেবার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এই ডাটাবেজ উদ্বোধন তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে একটি মাইলফলক মুহূর্ত। অবৈধ সেট আমদানি প্রযুক্তি ছাড়া অন্য কোনোভাবে ধরা সম্ভব না। সেটি এখন থেকে সম্ভব হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ডিজিটাল যত হচ্ছি ডিজিটাল অপরাধ প্রবণতা তত বাড়ছে। অপরাধের চরিত্র ডিজিটাল এবং এটি মোকাবেলার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ডাটাবেজ তৈরি করে অবৈধ বাজার বন্ধ এবং মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাই বন্ধ হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত হবে রাজস্ব হারানোর ক্ষতি।
বিটিআরসি’র স্পেট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, আনুমানিক ৯ কোটি মানুষ ১৫ কোটি সিম ব্যবহার করে। এজন্য আনুমানিক ১০ কোটি হ্যান্ডসেট ব্যবহৃত হয়। মানুষ ২৫-৩০ শতাংশ সেট অবৈধ বাজার থেকে কেনে।
তিনি বলেন, এতে সরকার এক হাজার থেকে ১২শ’ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। নিম্নমানের সেট স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এই ডাটাবেজ তৈরি হওয়ায় রাজস্ব হারানো বন্ধ হবে এবং ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিটিআরসি’র বিদ্যমান সার্ভার কক্ষেই সিস্টেমটির ডাটাবেজ ও সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। নেইড সেবা পেতে কোন ধরনের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হবে না।
সিস্টেমটি তৈরি, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড।