ইন্টারনেটের অন্যতম অগ্রদূত লরেন্স রবার্টস মারা গেছেন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৫৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
১৯৬৬ সালের শেষ দিকে ২৯ বছর বয়সী এক কম্পিউটার বিজ্ঞানী ছবি আঁকার কাগজ ও কুয়াডরিল প্যাডে একটি ধারাবাহিক বিমূর্ত পরিসংখ্যান আঁকেন। যার মধ্যে কয়েকটি ক্যাটস কেডল খেলার সঙ্গে মিলে যায়। বাকিগুলো দেখতে স্বর্গী নক্ষত্রপুঞ্জের মতো। বাকিগুলো পোশাকের নকশার মতো।
ওই আজগুবি আঁকিবুকিই ছিল আজ আমরা যেটাকে ইন্টারনেট বলে জানি, তার প্রথম মানচিত্র। এই আঁকিবুকি যিনি করেছেন, সেই লরেন্স জি. রবার্টস গত ২৬ ডিসেম্বর ৮১ বছর বয়সে রেডউড সিটিতে মারা গেছেন।
টেক বিশ্বে ল্যারি রবার্টস নামেই তিনি বেশি পরিচিত। হৃদরোগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে পাশা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ষাটের দশকের শেষ দিকে মার্কিন অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির (আরপা) একটি অংশের দায়িত্বে ছিলেন রবার্টস। তখন তাকে আরপানেট নামের একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে লাগানো হয়।
বিশ্বের মানুষ এখন যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, তার মূলে রয়েছে রবার্টসের ওই আরপানেট। ইন্টারনেটের চার জনকের মধ্যে একজন হিসেবে তাকেও ধরা হয়। বাকি তিনজন হলেন বব কান, ভিন্ট সার্ফ এবং লেন ক্লেইনরক।
দুই রসায়নবিদের ছেলে ড. রবার্টস। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইলেকট্রনিকস নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হন তিনি।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে রবার্টস বলেন, আমি নতুন কিছু চেয়েছি, রসায়নের মতো পুরানো কিছু নয়।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির দুইটি ব্যবস্থার জন্য কৃতিত্ব রয়েছে রবার্টসের, মূল নেটওয়ার্কের কাঠামো নকশা এবং নোডগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান।
আরপানেটে প্রথম চারটি কম্পিউটার যুক্ত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এতে যুক্ত হওয়ায় এই নেটওয়ার্ক দ্রুত বাড়তে থাকে।
বাস্তবিক প্রয়োগের দিকেও নজর ছিল রবার্টসের। যোগাযোগ এবং সহায়তা উন্নত করতে প্রথম দিকের আরপানেট ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।