ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য উন্নয়ন, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলে আয়োজন করেছে ‘বেসিস জাপান ডে ২০২৪’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দক্ষ তরুণদের জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশেষ করে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের সময়ে আইসিটি অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এক্ষেত্রে জাপানের আইসিটি খাতে বাংলাদেশের তরুণরা সেরা কর্মী।
জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি অন্তর্বর্তী সরকারকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে বলেছেন, গত সপ্তাহেই আমি প্রধান উপদেষ্টাকে সেই কথাটি জানিয়েছি। সরকারি-বেসরকারি উভয়ের মধ্যেই আইসিটি উন্নয়নে প্রতিযোগিতা, সহযোগিতা ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়ন হলে জাপান থেকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ আসবে। ইন্টারনেট শাটডাউন বিগত সরকারের আমলে সরকারের ভাবমর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করি, বর্তমান সরকার কখনোই এমনটি করবে না। একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাপানি বিনিয়োগকারীদের ওপর থেকে বাড়তি বোঝা তুলে নেবে।
অপরদিকে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার বলেন, ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো গড়ে তুললেও ডিজিটাল বৈষম্য ঘুচতে আমরা সমন্বয়ের ঘাটতি অনুভব করছি। এ সময়ে জাপান আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। জাপান সরকার ও বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় আমরা আগামী দিনে আমাদের ব্যাকবোনকে শক্তিশালী করতে পারব।
বেসিস জাপান ডেস্ক-এর চেয়ারম্যান একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের পরিচালক এবং সহ-সভাপতি ইয়াসুয়ে ইয়োশিনারি, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)-এর সভাপতি তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বেসিস ও মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত জাপানের ভাষা শিক্ষা প্রোগ্রাম বি-মিট এর ৯টি ব্যাচকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।