Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

আত্মহত্যাপ্রবণ ১৭৭ নারীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪০ এএম

আত্মহত্যাপ্রবণ ১৭৭ নারীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত

২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সেবাগ্রহণকারী ৩২২ জন নারীর মধ্যে ১৭৭ জনের আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। এর মধ্যে ৯৮ জন কখনো না কখনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এবং ৫ জন শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে। 

শনিবার রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বিষয় ছিল ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা, মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তি এবং আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকি।’

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ২০২১ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহণকারী নারীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। সংস্থাটি জানায়, ১৭৭ জন নারী আত্মহত্যাপ্রবণ রোগীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত ছিল। 

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস মজুমদার বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৯০ সালে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ‘আহছানিয়া মাদক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করে। ২০০৪ সালে এই কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে অ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কেয়ার (আমিক) নামকরণ হয়। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার এই উদ্যেগকে আরও ভালো করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র যাত্রা শুরু করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৭ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবছর আত্মহত্যা করছে। বাংলাদেশেও আত্মহত্যা একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আত্মহত্যার গড় হারে ২০১১ সালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৩৮তম দেশ। কিন্তু মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে এই দেশ উঠে এসেছে ১০ নম্বর স্থানে। বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণগুলো হচ্ছে, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন, শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতা, পারিবারিক কলহ এবং সম্পর্কের বিচ্ছেদ, মাদকের অপব্যবহার, অর্থনৈতিক সমস্যা, পড়াশোনার চাপ, বেকারত্ব, পারিবারিক আত্মহত্যার ইতিহাস ইত্যাদি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ এবং প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সাইক্লোজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফারজানা ফেরদৌস এবং কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের মনোচিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম