নারী দিবসে সেমিনারে বক্তারা
উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করতে হবে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

উত্তরাধিকার আইন ধর্ম ও লিঙ্গের ভিত্তিতে নয় বরং সমঅধিকারের আলোকে সংশোধন করতে হবে। পারিবারিকভাবে কেনা সম্পত্তিতে সমানভাবে দলিলে উল্লেখ করতে হবে নারীর নাম। ভূমিহীন নারীকে শর্তহীনভাবে খাসজমি বন্দোবস্ত দিতে হবে। বাতিল করতে হবে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্যমূলক আইন, নীতি ও বিধিমালা।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নারীর ভূমি ও সম্পত্তিতে অধিকারের বাস্তবতা : রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।
এএলআরডি-এর চেয়ারপারসন খুশি কবীরের সভাপতিত্বে ও সঞ্চলনায় সেমিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রথমটি উপস্থাপন করেন মানবাধিকার আইনজীবী ড. ফস্টিনা পেরেরা এবং দ্বিতীয় প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি।
প্যানেল আলোচক ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস ও ডাইভারসিটির পরিচালক নবনীতা চৌধুরী, রিসার্স ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লাকি আক্তার এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
সোহরাব হাসান বলেন, নারীর উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠায় এ সমাজ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারগুলো নারী অধিকারের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারছে না। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সরকার লক্ষাধিক ঘর দিয়েছে গৃহহীনদের। বিশাল এ তালিকায় দশ হাজার ভূমিহীন নারীও নেই।
নবনীতা চৌধুরী বলেন, জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি নারী হলেও ৫ শতাংশ নারীরও ভূমি অধিকার নেই।
লাকি আক্তার বলেন, যে নারীর জমি নেই তার অন্য কোনো অধিকারও নেই। আগে ভূমিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শামসুল হুদা বলেন, ভূমি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অধিকার দিতে হবে। এ সংক্রান্ত কালাকানুন বাতিল করতে হবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে নারীর পাশে দাঁড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় খুশি কবীর বলেন, আমাদের শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। তাহলে অন্যায়ের ভিত নড়ে যাবে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নারী নেত্রীরা নিজেদের এবং এলাকার নারীদের সমস্যা নিয়ে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন।