Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

নারীদের সাবলম্বী করছেন রোজী

Icon

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, হবিগঞ্জ

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম

নারীদের সাবলম্বী করছেন রোজী

মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। তবে পড়ালেখা বন্ধ করেননি। দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক ও বিএ পরীক্ষা। সার্টিফিকেটও অর্জন করেছেন। কিন্তু চাকরিতো নেই; তাই বলে থেমে থাকেননি। 

নিয়েছেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। আর এই প্রত্যয়ই প্রেরণা জুগিয়েছে কামরুননাহার রোজীর। তার বাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ভাদাদিয়া গ্রামে। মাধ্যমিক পাশ করেছেন ১৯৯৯ সালে। 

উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার আগেই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। স্বামী মো. ফজলে আজিম এলজিইডিতে চাকরি করেন। এ সুবাধে বিয়ের পর থেকেই হবিগঞ্জে বসবাস করছেন। এখানে থেকেই দিয়েছেন এইচএসসি ও বিএ পরীক্ষা। ইতোমধ্যে তাদের সংসারে ২ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সংসার সামলানোর পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নেন তিনি। 

২০১১ সালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সেলাই প্রশিক্ষণ নেন। ঘরোয়াভাবে নিজের অদম্য চেষ্টায় শেখেন আরও কিছু কাজ। ২০১২ সালে অন্য নারীদের কাজ শেখাতে শুরু করেন। সেলাই, পুঁতির কাজ, ব্যাগ তৈরি, হাতে তৈরি ন্যাপকিনসহ নানা বিষয়ে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। 

একই বছর হবিগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জীবিকায়নের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা ভিত্তিক কর্মসূচি প্রকল্পের মাধ্যমে তাকে প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়। এরপর থেকে তার কাছ থেকে কাজ শিখে অনেক নারী স্বাবলম্বী হয়েছেন। এসব তথ্য জানান কামরুননাহার রোজী। 

তিনি বলেন, আমার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন। ছিলেন স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিনি মারা যান। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে আমিই বড়। বিয়ের পর মনে হয়েছে আমি থেমে থাকতে পারি না। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিই আমাকে পড়ালেখা শেষ করতে হবে। সে অনুযায়ী চেষ্টা করেছিও। শিক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নিই নিজে কিছু করতে হবে। 

আমার স্বামী শুরু থেকেই সাহস জুগিয়েছেন। ফলে আমার কাছ থেকে কাজ শিখে অনেক নারী স্বাবলম্বী হয়েছেন। এটিই আমার বড় অনুপ্রেরণা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম