যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর পাকিস্তান দল ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে সবার মধ্যেই প্রশ্ন উঠছিল—কীভাবে বাবর আজমরা নিজেদের অনুপ্রাণিত করবে। তখন পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেন বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য পাকিস্তান দল সম্পূর্ণভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে রয়েছে। তাদের বাড়তি মোটিভেশনের কোনো দরকার নেই।
কিন্তু ভারতের সঙ্গে পরাজয়ের পর সুর পালটালেন প্রোটিয় এই কোচ। গ্যারি কারস্টেন খুশি হতে পারছেন না সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর সতর্কবার্তা দিলেন তিনি বাবর আজমদের। জানিয়ে রাখলেন, খেলতে না পারলে জায়গা ছাড়তে হবে। খবর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর।
বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের দায়িত্ব নেন ভারতের সাবেক কোচ। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ক্রিকেট খেলা পরিবর্তন হচ্ছে। তাই কেউ যদি সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে তা হলে জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
কারস্টেন আরও বলেন, ‘দলের সবাই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার। তারা বুঝতে পারে কখন নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না। সেটা তাদের ওপর একটা চাপ তৈরি করে। আমি বুঝতে পারছি সেটা। কিন্তু এ দলের অনেকেই বহু দিন ধরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছেন। এ বার তাদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে।’
পাকিস্তান দলে বেশ কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা গত তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০২১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা দলের সাতজন এ বারের পাকিস্তান দলে রয়েছেন। গত বছর ফাইনাল খেলা দলের ছয়জন ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন। বাবর এবং মোহাম্মাদ রিজওয়ান দলের অন্যতম সেরা সিনিয়র ক্রিকেটার। তারাই ভারতের বিরুদ্ধে রান করেছেন। কিন্তু তাদের স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফখর জমান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হারিস রউফও এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন।
কার্স্টেন বলেন, ‘আমি খুব বেশি দিন সময় পাইনি। এই দলের অনেকের খেলাই আমি টিভিতে দেখেছি। ওরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। দেশের হয়ে খেলছে ওরা। সেটাই মানসিক ভাবে জোর এনে দেয়। অনেকেই হারের পর হতাশ।’