
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সাকিব নিশ্চিত, অন্তর্বর্তী সরকার ‘সদিচ্ছা’ নিয়েই কাজ করছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
-67ff48bc87951.jpg)
আরও পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্য আছেন দেশের বাইরে। মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব আল হাসানও ব্যতিক্রম নন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তার আগে থেকেই অবশ্য আছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে একটা দিক থেকে ব্যতিক্রমী এক নজিরই স্থাপন করলেন তিনি। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে কিছু বলেননি এখন পর্যন্ত। সাকিব বললেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অল্প ভাষায় ‘নতুন বাংলাদেশের’ তারিফই করলেন তিনি।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নতুন বাংলাদেশ নিয়ে তার মূল্যায়ন কী। সে প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, তারা সদিচ্ছা নিয়েই কাজ করছে।’ তবে কতদূর কী করতে পারবেন তারা, সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতেও পিছপা হননি সাকিব। তিনি বলেন, ‘তবে সময়ই বলে দেবে তারা কতদূর যাবেন। এর বাইরে আমি আর কিছুই বলতে পারব না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রকৃতির নিয়ম এমনই। ১০ বছর হোক, ২০ বছর হোক, কেউই ক্ষমতায় বসে থাকতে পারবে না। যদি অন্য কোনো দল ক্ষমতায় আসে, তারাও সেখানে চিরকাল থাকতে পারবে না। এই চক্রটা চলতেই থাকবে। আপনি এটা বলতে পারবেন না যে কখন এটা শেষ হবে।’
এদিকে তিনি জানান দেশে ফেরা নিয়ে একাধিক পক্ষের সঙ্গে আলাপও হচ্ছে তার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। তার কথা, ‘এখন আমার প্রধানতম স্বপ্ন হচ্ছে দেশের মাটিতে খেলে অবসরে যাওয়া। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এখনও। প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা হচ্ছে আমার।’
দেশের মাটিতে খেলে বিদায় নেওয়ার বিষয়টা প্রায় সম্ভব হয়েই যাচ্ছিল গেল বছর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটায় তার মিরপুর টেস্টের পরই বিদায় নেওয়ার কথা ছিল। বিসিবির পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে তিনি অর্ধেক রাস্তায় চলেও এসেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তীব্র জনরোষে পড়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় তাকে। দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যান সাকিব।
সে ইচ্ছাটা এখনও চলে যায়নি সাকিবের। তবে তা পূরণ কবে হয়, কিংবা আদৌ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।