
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ এএম
ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন সুজন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

আরও পড়ুন
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবে টাকার বিনিময়ে ১৪ বছরের কিশোরকে দলে নিবন্ধন করিয়েছেন কোচ খালেদ মাহমুদ। ক্লাবের কোচ ও সেক্রেটারি তিনি। আবার শাইনপুকুরেরও জয়েন্ট সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদ। কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার ক্ষমতা তার। গুলশান ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ পাওয়ার জন্য আর্থিক সহাযোগিতা করেছেন বিপিএলের দল ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার ফিক্সিংয়ের বিষয়ে খালেদ মাহমুদের দিকে আঙুল উঠছে।
ঢাকা লিগে এবার আরও কয়েকটি ম্যাচে দৃষ্টিকটু আউট প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে বুধবারের দুটি আউট সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট নিজের ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা এতবড় অন্যায় করতে পারে না। এর পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড আছে।’ তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব? এমন আউট শুধু নাটকে দেখা যায়। একজন প্রকৃত খেলোয়াড় কখনোই নিজের ইচ্ছায় এমনটি করতে পারে না। ক্রিকেট কখনোই খেলোয়াড়কে এই শিক্ষা দেয় না। এর পেছনে কারও না কারও হাত আছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এরা। এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে!’
কাল মিরপুরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, কাজটা কারও নির্দেশে হয়েছে। কিন্তু প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। দ্রুত তদন্ত করে দুই ক্লাব ও নির্দেশদাতাদের বহিষ্কার করা উচিত।’ দশ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গুলশান রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। এক জয় পাওয়া শাইনপুকুর তলানিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘ব্যাটাররা কি করেছে সেটা আমি কিভাবে বলব। আমি তো এবার শাইনপুকুরের কোচ না।’ আপনিতো সেক্রেটারি। সবাই আপনার দিকে আঙুল তুলছে। তিনি বলেন, ‘আমি সেক্রেটারি তো কি হয়েছে। আমি যদি এরকমটা বলতাম, তাহলে তো গুলশানকে সাড়ে তিনশ রান করতে দিতে বলতাম। আমি তো ওইদিন শাইনপুকুরের ড্রেসিংরুমেই যাইনি। আর যদি বলেও থাকি, তাহলে ব্যাটাররা কি আমার কথামতো ব্যাট করবে? যেমন ইচ্ছা লিখে দেন।’ তিনি বলেন, ‘ভালো খেলোয়াড়রাও মিস্ করতে পারে। ওই সময় সে মারতে গিয়ে মিস্ করেছে। কিন্তু আপনাদের কেন মনে হচ্ছে যে, আমি বলে দিয়েছি!’