
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
সন্দেহজনক সেই ম্যাচ নিয়ে তদন্ত করবে বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ইচ্ছে করেই যেন আত্মাহুতি দিয়েছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটার। ডিপিএলে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ঘিরে সন্দেহের তীর। সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার থেকে দর্শক-সমর্থক হয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় চলছে সমালোচনা। উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি রাখতে চায় তারা। বোর্ড বলছে, ‘বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট এবং লিগের টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচের সঙ্গে জড়িত কথিত অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে। বিসিবি তার এখতিয়ারে থাকা সমস্ত ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে ন্যায্যতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তদন্তের বেরিয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কোচ ও সেক্রেটারি খালেদ মাহমুদ। শাইনপুকুর ক্লাবও তার নিয়ন্ত্রণে। এই ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি তিনি। ১৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শাইনপুকুরের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছয় রান। এর কিছুক্ষণ আগে ড্রেসিংরুম থেকে বার্তা যায় গুলশানের ব্যাটারদের কাছে। উইকেটকিপার ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে স্টাম্পিং হন, সেটা দেখে ধারাভাষ্যকারও অবাক। বলেছেন দুঃখজনক।
দেখা যায় ব্যাটার মিনহাজুল শট খেলার জন্য উইকেট ছেড়ে উপরে উঠে এসে ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি। গুলশানের উইকেটকিপার আলিফ হাসান প্রথমে বল ধরতে পারেননি। কিন্তু ব্যাটার যেন আউট হওয়ার জন্য উতলা ছিলেন। ব্যাট মাটিতে নামাননি তিনি। উইকেটকিপার দ্বিতীয় চেষ্টায় স্টাম্প ভাঙার পর মিনহাজুল ব্যাট নামান। এই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। কয়েকজন খেলোয়াড়ও সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। কাল ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুদলের কেউ কথা বলেননি। মাঠে প্রবেশের অনুমতি পাননি সাংবাদিকরা। শেষ ব্যাটার হিসাবে মিনহাজুল আউট হলে ম্যাচে গুলশান জিতে যায় পাঁচ রানে।
ওই ম্যাচের দুই আউট নিয়ে ঘটা কাণ্ডের বিষয়টি অবগত হয়েছে বিসিবি। তারা জানিয়েছে, ‘বিসিবি ক্রিকেটের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখতে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চায়। যেকোনো প্রকারের দুর্নীতি বা অসদাচরণ, যা খেলার স্পৃহা নষ্ট করতে পারে তার প্রতি বোর্ডের শূন্য সহনশীলতার নীতি রয়েছে।’