
প্রিন্ট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনে সালাউদ্দিনের পোয়াবারো

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) কাজী সালাউদ্দিন যুগ শেষ হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এখনো তার কর্তৃত্ব রয়েছে। সাফের সভাপতির দায়িত্বে এখনো সমাসীন দেশের ফুটবলের এই ‘বিতর্কিত’ চরিত্র। এতদিন সাফের নিয়ম ছিল, ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক কেউ সাফের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এই নিয়ম এখন বদলে গেছে। আর নিয়ম বদলে ভাগ্য খুলেছে সালাউদ্দিনের।
বাফুফের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন ১৯৫৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসাবে ২০২৬ সালে সাফ নির্বাচনের সময় তার বয়স হতো ৭২ বছর। আগের নিয়মে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন।
তবে সাফের গঠনতন্ত্র থেকে বয়সসীমা তুলে দেওয়ায় সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সাফের আগে এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসিতেও বয়সের এই বাধা উঠানো হয়েছে।
বাফুফের মতো সাফেও সালাউদ্দিনের রাজত্ব দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সালে প্রথমবার বাফুফের শীর্ষ পদে আরোহণ করেন তিনি। পরের বছর সাফের সভাপতির পদও তার দখলে আসে। টানা চারবার তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যে কোন পদে (সভাপতিসহ) টানা তিন বার বা সব মিলিয়ে তিন বার অথবা ১২ বছরের অধিক সময়কাল অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এই সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালে। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এই আওতায় পড়েননি। ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে এই আইনের আলোকে সেটাই হবে তার শেষ মেয়াদ।
তবে নির্বাচনের জন্য সবদিক দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করলেও সাফের পরের নির্বাচনে সালাউদ্দিন বাংলাদেশের মনোনয়ন পান কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ বাফুফে এখন নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ফুটবল অঙ্গন থেকে খানিকটা দূরেই রয়েছেন সালাউদ্দিন।