
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ এএম
‘হাজার বছরেও ভারতের ফুটবলের উন্নতি হবে না’

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ১২৬, আর বাংলাদেশ ১৮৫তম। কাগজে-কলমে বেশ এগিয়ে থেকেও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ভারত। আর এতেই ক্ষেপেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। বলেছেন, হাজার বছরেও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে না।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। কিন্তু কল্যাণ চৌবের বিপক্ষে ভোটে হেরে সেই সুযোগ পাননি। তবে কার্যকরী কমিটির সদস্য হয়েছেন তিনি।
কিন্তু ফেডারেশনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন বাইচুং। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, ‘ভিসিয়ন ২০৪৭ খাতায়-কলমে আছে। কল্যাণ চৌবে এটা খাতায় কলমেই রেখেছে। এমন চলতে থাকলে ২০৪৭ নয়, ৩০৪৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শুধু কথা বললে হবে না, কাজেও করে দেখাতে হবে।’
ভারতীয় ফুটবলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তিত বাইচুং যোগ করেন, ‘আমি মর্মাহত। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছি। কিন্তু এখানে লোক জনদের পরিকল্পনা শুনলে সত্যি খুব ভয় করে। আমাদের এমন লোক জন প্রয়োজন যারা কাজের প্রতি দায়বদ্ধ। দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন লোক প্রয়োজন।’

ঘরোয়া পর্যায়ে আরো উন্নতি করতে হবে জানিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘মুখে বলা হয় আমার রাজ্য থেকে ২৫০০ জন ফুটবলারকে নিয়ে কাজ হয়েছে, ১০০০ জন ফুটবলারকে নিয়ে কাজ হয়েছে। কিন্তু সেটা খুব বেশি হলে ২০-২৫ দিনের জন্য। সারা বছর এই বাচ্চাগুলো কী করে? কোথায় যায় তারা? কিছু করে না। ১১ মাস কিছুই করে না। কিন্তু এই ২৫০০ বা ১০০০ ফুটবলার নিয়ে কাজ করার জন্য একে অপরের পিঠ চাপড়ানো হয়। এই ভাবে বাচ্চাদের উন্নতি সম্ভব? এটা তৃণমূল স্তরের ফুটবল?’
নিজেদের স্কিলকে আরও পরিপক্ব করতে তুলতে ভারতীয় ফুটবলারদের বিদেশি ক্লাবে খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বাইচুং। বলেছেন, ‘ভারতের বাইরে গিয়ে খেলতে হবে। এখানে খেলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ফুটবলাররা। অন্য দেশের তুলনায় ভালো টাকাও পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটবলারদের বিদেশে যেতে হবে। টাকার কথা ভাবলে চলবে না। সেখানে গিয়ে শিখতে হবে। এমন দেশে যেতে হবে, যারা ভারতের চেয়ে এগিয়ে। সেখানে গিয়ে শিখে ফিরে এসো। তরুণদের বিশেষ করে এই চেষ্টা করতে হবে।’