
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৮ এএম
একগাদা সুযোগ নষ্ট করে আফসোস নিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

প্রথমার্ধটা খেলল বাংলাদেশই। স্বাগতিক ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরালেন হামজা চৌধুরীরা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের দেখা মিলল না। দারুণ খেলেও তাই আফসোস নিয়েই বিরতিতে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ আজ নেমেছিল হামজা চৌধুরীকে একাদশে নিয়ে। তবে জামাল ভূঁইয়াকে রাখা হয়নি শুরুর একাদশে। তার পরিবর্তে অধিনায়ক ছিলেন তপু বর্মণ, সেই তপুও চোট নিয়ে বেরিয়ে যান ২২ মিনিটের মাথায়। বাংলাদেশ এরপরও ছড়ি ঘুরিয়েছে ভারতের ওপর। শুধু গোলের দেখাটাই পায়নি সফরকারীরা।
প্রথম সুযোগটা একেবারে প্রথম মিনিটেই পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ফাঁকায় থেকেও বলটা তুলে দিয়েছিলেন মজিবুর রহমান জনির পায়ে। তবে ফাঁকা জালেও তিনি বলটা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। সাইড নেটিং হয় তার শট। ৯ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রসে মাথা ছোঁয়ালেও বলটা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শাহরিয়ার ইমন।
একটু পর ভারতের বিপদসীমায় গোলরক্ষকের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। তার শটটা ঠিকঠাক হয়নি, যা গোললাইন থেকে ঠেকান ভারত ডিফেন্ডার শুভাশিস। ২১ মিনিটে ইমন আবারও মোরসালিনের ক্রস থেকে হেড করেছিলেন, তবে এবার ছয় গজের বক্সে থেকেও হেডারটা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। উলটো এই হেডের পর তিনি গিয়ে পড়েন অধিনায়ক তপু বর্মণের ওপর, বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিলেও চোট আর তপুকে মাঠে নামতে দেয়নি, অধিনায়ক হারায় বাংলাদেশ।
ভারত বলার মতো সুযোগটা পেয়েছে ৩১ মিনিটে। লিস্টন কোলাচোর ক্রস থেকে উড়ন্ত সিংয়ের করা হেডার ঠেকান মিতুল মারমা। এরপর ফারুকের ফিরতি শটটাও ঠেকান তিনি।
বাংলাদেশের রাকিব হোসেন একটু পর একা পেয়ে গিয়েছিলেন ভারত গোলরক্ষক বিশালকে। তিনি গোলের দেখা পাননি। ৪১ মিনিটে আবারও জনি সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি এবারও সুযোগটা নষ্ট করেন।
এত্তো এতো সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ ম্যাচের বিরতিতে গেছে আফসোস নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে এই খরাটা কাটাতে চাইবে বাংলাদেশ, তা বলাই বাহুল্য।