
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ পিএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
মুহূর্তেই ঘটে যাচ্ছিল সব। তামিম ইকবালের মুখ থেকে ফেনা পরছিল, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল। শ্বাসপ্রশাসও ঠিকঠাক নিতে পারছিলেন না। কালক্ষেপন করেননি ইয়াকুব আলী চৌধুরি। তামিমের প্রাণস্পন্দন ফেরানোয় এগিয়ে আসেন। মোহামেডানের এই ট্রেনার পুরোটা পথ তামিমের সঙ্গে ছিলেন, যতটুকু পারা যায় তামিমকে জিইয়ে রাখছিলেন।
গতকাল সেই ছোট যাত্রার লম্বা গল্প ফেসবুকের এক পোস্টে বলেছেন ইয়াকুব। তামিমকে তৎক্ষণাৎ সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে হৃৎস্পন্দন চালু রাখেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্সে বসে একটা সময় তারও মনে হচ্ছিল, ‘আর বুঝি তাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।’ তবে সব শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। তামিম ফিরেছেন। শারীরিক উন্নতি হয়েছে, হার্টে রিং পরানো হয়েছে। হাঁটাচলাও করছেন তামিম।
সোমবার রাতে ইয়াকুব লিখেছেন, ‘আজকের দিনটার কথা সত্যি কোনোদিন ভুলবো না। ভোলার মতোও না। পুরোটা সময় তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম—মাঠ, অ্যাম্বুলেন্স থেকে হসপিটাল পর্যন্ত। অ্যাম্বুলেন্সে আমাদের সাথে দেবু দাদা (দেব চৌধুরী) ছিলেন। দাদা অ্যাম্বুলেন্সে বসে আনুষাঙ্গিক সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ছিলেন। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। অনেকটা ঘাবড়িয়ে গিয়েছিলাম!’
ইয়াকুব সেই বিভীষিকাময় সময়টিতে তামিমের পাশে ছিলেন, ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এই ট্রেনার চান তামিম দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরুক, ‘একটা পর্যায়ে মনে হয়েছে আপনাকে হারাতে বসেছি। কিন্তু মনটাকে শক্ত করে সমানে সিপিআর (CPR Apply) করে গেছি। পুরো ডিটেইলসে বলার বা লেখার মতো অবস্থায় নাই। বারবার শুধু অ্যাম্বুলেন্সে পরে থাকা আপনার ঐ নিথর দেহটার কথা মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে সবটায় স্বপ্নে ঘটে যাচ্ছে। ২৫০-৩০০ সিপিআর দেওয়ার পর যখন একটু রেসপন্ডস পেলাম, কলিজায় একটু পানি পেলাম। শুধু এইটুকু বলবো আপনি আমাদের মাঝে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।‘
আজ সকালে হাঁটতে পেরেছিলেন তামিম। দুপুরে এক পোস্টে জানিয়েছেন সেই সব সময়ের কথা। তার আগে সকালে ট্রেনার ইয়াকুবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তামিম।