
একসময় জিম্বাবুয়ের নেতৃত্বও দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেলর। কিন্তু এখন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধি লঙ্ঘনকারী নিষিদ্ধ ক্রিকেটার তিনি। তবে সে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে টেলরকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। ২০২২ সালে এই শাস্তি পাওয়া টেলরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফুরাবে আগামী জুলাইয়ে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে চান তিনি। স্বপ্ন দেখছেন ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার।
সম্প্রতি ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টেলর বলেন, ‘আমি এখনও খেলতে চাই এবং আমার বিশ্বাস, খেলোয়াড় হিসেবে আমি প্রভাব রাখতে পারব। গিভমোর (জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক) আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। তিনি বলেছেন, তুমি কি ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে পারবে এবং নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারবে? তখন (বিশ্বকাপে) আমার বয়স হবে ৪১ বছর। তবে ধৈর্য ধরে খেললে সেরাটা দিতে পারব।
দলে নিজের সুযোগ পাওয়া নিয়ে টেলর বলেন, ‘নিজেকে অবশ্যই টেস্ট ও ওয়ানডেতে দেখছি আমি। টি-টোয়েন্টি এমন কিছু, যার জন্য সত্যিই নিজের আরও উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। তবে এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমি।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে টেলর জানিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর কথা বলে তাকে ভারতে ডাকেন এক ব্যবসায়ী। এরপর কোকেন খাইয়ে ও ১৫ হাজার ডলার দিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং না করলে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। জেনে শুনেই অন্ধকার জগতে পা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। পরে তাকে আইসিসি সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়।
২০০৪ সালে অভিষেকের পর থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ৩৪ টেস্ট, ২০৫ ওয়ানডে ও ৪৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন টেলর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৮৪ ম্যাচে ৩৪.১৫ গড়ে তার রান ৯৯৩৮। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সবশেষ জিম্বাবুয়ের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।