
প্রিন্ট: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ভারতের গোঁয়ার্তুমিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। যার ফলে আয়োজক হয়েও টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ বেশকিছু ম্যাচ নিজেদের আঙিনায় রাখতে পারেনি পাকিস্তান। ভারতের গ্রুপপর্ব ও নকআউটের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে দুবাইয়ে। আর বৃষ্টির বাগড়ায় পাকিস্তানে দুটি ম্যাচ পণ্ডও হয়ে যায়।
এসব জিনিস আমলে নিয়ে বরাবরের মতোই অনুমান নির্ভর সংবাদ করে ভারতীয় গণমাধ্যম। ঠিকঠাক কোনো সূত্র উল্লেখ না করেই জানায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করে পিসিবির ৮৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০৩২ কোটি টাকা) লোকসান হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এই সংবাদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যানের পরামর্শক আমির মির ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জাভেদ মুরতাজা।
ভারতীয় মিডিয়া ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে দাবি করে আমির মির বলেন, ‘পাকিস্তান-বিরোধী উপাদান নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া প্রোপাগান্ডার দোকান খুলে বসেছে। যা আমরা পরিষ্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। দুর্ভাগ্যবশত কিছু পাকিস্তানি মিডিয়াও সেসব খবর প্রচার করছে।’
এমনকি পিসিবি টুর্নামেন্টটি আয়োজনে কোনো খরচই করেনি জানিয়ে আমির মির যোগ করেন, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পিসিবি কোনো অর্থই খরচ করেনি, ৭০ মিলিয়ন ডলারের পুরো অর্থ আইসিসি বহন করেছে। তবে এখনও পুরো অডিট সম্পন্ন হয়নি।’
তিনি জানান, ‘পিসিবি কেবল সরকারকে ৪ বিলিয়ন রুপি ট্যাক্স হিসেবে দিয়েছে, যখন ফাইন্যান্সিয়াল রিজার্ভ বেড়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও সফলভাবে আয়োজন করা হয়। কারণ বেশিরভাগ দলই এখানে খেলেছে।’
পিসিবির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জাভেদ মুরতাজা জানিয়েছে, পিসিবি প্রায় ১০০ কোটি রুপি আয় করেনি কেবল, অডিট শেষ হওয়ার পরে এই অর্থ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ার জন্য যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য আইসিসির কাছ থেকে আরও ৯৩ কোটি রুপি পাবে বলেও আশা করছে পিসিবি।