
ছবি: সংগৃহীত
ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মানেই টাকার ঝনঝনানি। আইপিএল এক্ষেত্রে দু’পা এগিয়ে। ভারতের কুড়ি কুড়ির ক্রিকেট লিগটি এতটাই মেগাহিট যে এপ্রিল-মে মাসে নতুন শো লঞ্চ করার আগে দশবার ভাবেন টিভি চ্যানেলের প্রোডিউসাররা। প্রাইম টাইমে অবধারিত কমে যায় জনপ্রিয় সিরিয়ালেরও টিআরপি।
রোহিত-কোহলিদের ক্রিকেট বোর্ডও আয় করেন কাড়িকাড়ি টাকা। বিজ্ঞাপনদাতারা ম্যাচ চলাকালীন টিভিতে অ্যাড দেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি পরে যায়। সম্প্রচারকারী সংস্থা গত বছরের ১০ সেকেন্ডের স্লটের জন্য নিত ১৬.৪ লাখ টাকা ভারতীয় টাকা। যা এবার বেড়েছে।
ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইপিএল সামনে রেখে এবার এখনই ২০-২২ লাখ ভারতীয় রূপি গুণতে হচ্ছে বিজ্ঞাপন দাতাদের। ৫ সেকেন্ডের স্লটের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। ২২ এপ্রিল বসবে কুড়ি কুড়ির লড়াই। সেসময় বিজ্ঞাপনের রেট যাবে আরও বেড়ে।
২০১৮-২০২২ সালের জন্য আইপিএলের টিভি ও ডিজিট্যাল স্বত্ব বিক্রি হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকায়। ২০২৩-২০২৭ সালের জন্য সেই স্বত্ব বিক্রির টাকা বেড়ে বোর্ড পেয়েছে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা!
পাঁচ বছরের ডিজিট্যাল স্বত্ব মুকেশ আম্বানির ভায়াকম ১৮ কিনেছিল ২৩,৭৫৮ কোটি টাকায় আর ডিজনি স্টার টিভি স্বত্ব রেখে দিতে পেরেছে ২৩,৫৭৫ কোটি টাকায়। শুধু ব্রডকাস্ট স্বত্বই নয়, আরও নানা উপায়ে বোর্ডের সোনার হরিণ আইপিএল। লিগের টাইটেল স্পনসরশিপ তো আছেই। আরও থাকছে নানা আয়ের উৎস।