
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার এবং ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে পাপনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পাপন। গত বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বও পান তিনি। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
গত রোববার দুর্নীতির অভিযোগে বিসিবির সাবেক এই সভাপতি এবং তার স্ত্রী রোকসানা হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এবার ক্রিকেট বোর্ডেও পাপনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান পাপন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন সূত্রে জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পরে বোর্ড পরিচালকদের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন।