-67d85078e075f.jpg)
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য দেওয়ান হামজা চৌধুরী এখন পিতৃভূমি সিলেটে। সোমবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই ফুটবলার। স্মরণীয় এ সফরে সঙ্গী হয়েছেন তার মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।
এর আগে সকাল থেকেই হামজাকে বরণ করতে তার বাবা ও ভক্তরা সিলেট বিমানবন্দরে ভিড় করেন। তাদের হাতে ছিল হামজার ছবি আঁকা ব্যানার। মুখে ছিল হামজার নামে স্লোগান। সবশেষে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তারা হামজাকে বরণ করে নেন।
এ সময় ভক্তদের ভালবাসায় সিক্ত হন হামজা চৌধুরী। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তাবাহিনীকেও।
উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড়ে হামজাকে লক্ষ্য করে হাজারো প্রশ্ন ছোঁড়েন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু কোনো প্রশ্নই হট্টগোলের কারণে বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। ফলে বারবার তিনিও প্রশ্ন করেন, আমি বুঝছি না, বুঝছি না বলে। এক পর্যায়ে তিনি বলে ওঠেন, ‘আমরা উইন খরমু, ইনশাল্লাহ’।
হামজাকে বরণ করতে দক্ষিণ সুরমা থেকে এসেছিলেন জুনেদ আহমদ। তিনি বলেন, হামজা ইংলিশ লীগ মাতানো ফুটবলার। তিনি এখন বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তার বাড়ি সিলেটে, এটা আমাদের জন্য গর্বের।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন হামজা। হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেট এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী ও সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
ছিলেন বাফুফের সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া শাহীন, কামরুল ইসলাম হিল্টন, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও মন্জুরুল করিম। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর হামজাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তারা।
হামজা এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে এসেছেন তিনি। সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে চলে যান। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় যাওয়ার কথা। যোগ দেয়ার কথা জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের।
হামজা চৌধুরী একাধারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, বাংলাদেশেরও নাগরিক।
হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী জানান, মাতৃভূমির প্রতি অসামান্য টানের কারণে সে আসছে। শেকড় যাতে ভুলে না যায় সে কারণেই তাকে আমি এখানে নিয়ে এসেছি। জোর করিনি, সে নিজের ইচ্ছাতে এসেছে।
হামজার বাবা জানান, সিলেট হয়ে হামজা হবিগঞ্জের গ্রামের বাড়ি বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট যাবে। পরদিন ঢাকায় যাবে।
হামজার চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ বলেন, দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলতে আসছে হামজা চৌধুরী। ভাতিজা হামজাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে গ্রামে।