এখনো ক্রিকেটারদের পুরো পারিশ্রমিক দেয়নি চিটাগং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণের রানার্স আপ চিটাগং কিংসের পারিশ্রমিক ইস্যুতে তালবাহানা নিয়ে মুখ খুলছেন ভুক্তভোগীরা। দলটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং মেন্টর হিসেবে কাজ করা পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি দাবি করেছেন, তিনি এখনো তার পারিশ্রমিকের সিংহভাগ পাননি।
এবার দলটির ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন অভিযোগের সুরে বলেছেন, তিনিসহ দলটির অন্য ক্রিকেটাররা এখনো পুরো পারিশ্রমিক বুঝে পাননি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘৫০ শতাংশ পেয়েছি, বাকিটা এখনও পাইনি। দেবে দেবে বলতেছে, কিন্তু আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমি, শরিফুল, আসলে সব খেলোয়াড়ই... যা পেয়েছি বিপিএল চলাকালীনই পেয়েছি।’
পারিশ্রমিক বকেয়া থাকায় মানসিক পীড়নের স্বীকার হচ্ছেন জানিয়ে এই ব্যাটার যোগ করেন, ‘আসলে সবসময় আমাদের মনোযোগ থাকে পারফরম্যান্সের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা থাকে আরও কীভাবে ভালো পারফর্ম করব। আমাদের তখন যদি চিন্তা করতে হয় পারিশ্রমিক নিয়ে যে কেন পাচ্ছি না। এটা আসলে মনোযোগে ব্যঘাত ঘটায়।’
এর আগে বিপিএল চলাকালেও একবার ইমন পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দলের ক্যাম্পে যোগ দেননি বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তখন চিটাগাং কিংসের কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী সরাসরিই জানিয়েছিলেন ‘তিনি সন্তুষ্ট না হলে টাকা কেন পাবে!’ পরে অবশ্য এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
এদিকে শুধু ইমন এবং আফ্রিদিও নয়, চিটাগং দলের সঙ্গে কাজ করা কানাডিয়ান উপস্থাপিকা ইয়েশা সাগরের সঙ্গেও দলটির চুক্তির সমাপ্তি ঘটেছে তিক্ততায়।
এবারের বিপিএলে পারিশ্রমিক নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। দলটির বিদেশি ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক নিয়ে অনিশ্চয়তায় একটি ম্যাচ বর্জনও করেছিলেন। পারিশ্রমিক ইস্যুতে তালবাহানায় দলটির কর্ণধারকে শফিকুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছিল। পরে চাপের মুখে খেলোয়াড় এবং স্টাফদের পারিশ্রমিক পরিশোধের অঙ্গীকার করেন তিনি।
টুর্নামেন্ট শেষের পর চিটাগং কিংসের পারিশ্রমিক নিয়ে তালবাহার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছে। চিটাগং ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে বিসিবি কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।