-67d397249adfc.jpg)
ইন্টার মায়ামির অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছিল না। ম্যাচের পর ম্যাচ চলে যায়, লিওনেল মেসির দেখা পান না দর্শকরা, যা নিয়ে হতাশাও ঝাড়তে দেখা গেছে তাদের।
সেই মেসির দেখা অবশেষে মিলল। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলোয় জ্যামাইকার দল ক্যাভালিয়ের এফসির বিপক্ষে তিনি ফিরলেন। এসেই করলেন দারুণ এক গোল। দল জিতল ২-০ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের জয়ে মায়ামি চলে যায় প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে।
ইন্টার মায়ামির ম্যাচের টিকিট প্রায় সবসময়ই ‘সোল্ড আউট’ হয় মুহূর্তে, কারণ মেসিকে এক নজর দেখতে বিপুল দর্শকের চাওয়া। কিন্তু শেষ কিছু দিনে তা সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে মেসিকে।
সেটা আজও হয়েছে। জ্যামাইকার মাঠে এই প্রথম কোনো ম্যাচ খেলার কথা ছিল মেসির, সেখানকার দর্শকরাও সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিয়েছেন। সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল মুহূর্তে।
সুযোগ কি ক্যাভালিয়ারও কম নিয়েছে? নিজেদের মাঠের ধারণক্ষমতা ৩০০০, সে কারণে মায়ামির বিপক্ষে ম্যাচটা জ্যামাইকার জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়ে যায় ক্লাবটা।
এত আয়োজনের পর শুরুর একাদশ দেখে অবশ্য স্থানীয় দর্শকরা হতাশই হয়েছিলেন। মেসি ছিলেন না যে। লুই সুয়ারেজের পেনাল্টিতে এরপরও এগিয়ে গিয়েছিল মায়ামি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে সেই সুয়ারেজের বদলি হিসেবে মাঠে আসেন মেসি। তাতে দর্শকদের কোলাহল উন্মাদনায় রূপ নেয় রীতিমতো।
মেসির গোলের দেখাও মিলল কিছু পরেই। ৯০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসিকে থ্রু বল দেন সান্তিয়াগো মোরালেস, গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় মেসি তা জালে পাঠান। ২-০ গোলের সহজ জয় নিয়ে মেসির দল চলে যায় শেষ আটে।
কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিদের জন্য অপেক্ষা করছে এলএএফসি। ১ এপ্রিল প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে হবে মেসিদের। ৮ এপ্রিল ফিরতি লেগে দলটা নিজেদের মাঠে নামবে লড়াইয়ে।