পাকিস্তান ক্রিকেটের ভরাডুবির জন্য যাদের দায়ী করলেন রশিদ লতিফ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১২ এএম
-67cfaa3ba7dc3.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
একের পর এক আইসিসি ইভেন্টে ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান। সবশেষ ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল বিদায় নিয়েছে সবার আগে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে পাকিস্তানের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে। যে কারণে দেশটির ৯০ দশকের কিংবদন্তিদের প্রতিবেশীদের খোঁচাও সহ্য করতে হচ্ছে হরহামেশায়।
যা নিয়েই এবার কথা বলেছেন দেশটির সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ। পাকিস্তান ক্রিকেটের আজকের এই অবস্থার জন্য তিনি দায়ী করেছেন সেই ৯০ দশকের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের। তার মতে, ৯০ দশকে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পরার কারণে শুধু যে নিজেদের ক্যারিয়ারের ক্ষতি করেছে তাই নয়। এতে বিশাল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেটের। আর সেই ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও টিভিতে ‘হারনা মানা হ্যায়’ নামে এক ক্রিকেট শো-তে এসব কথা বলেন রশিদ। যেখানে আলোচনায় রশিদ ছাড়াও ছিলেন মোহাম্মদ আমির ও সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।
আলোচনার একপর্যায়ে সঞ্চালক অতিথিদের জিজ্ঞেস করেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কে—রশিদ লতিফ নাকি মঈন খান?
যার উত্তরে আহমেদ শেহজাদ বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই, পাকিস্তানের ইতিহাসে সেরা উইকেটকিপার রশিদ লতিফ।’
অন্যদিকে মোহাম্মদ আমির বলেন, ‘উইকেটকিপার হিসেবে উনিই (রশিদের দিকে তাকিয়ে) সেরা। তবে যদি ব্যাটসম্যান-কিপারের কথা বলি, আমি বলব, কামরান আকমল সেরা।’
রশিদের চেয়ে মঈন পাকিস্তানের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। মঈন খেলেছেন ৬৯টি টেস্ট ও ২১৯টি ওয়ানডে। রশিদ খেলেছেন ৩৭টি টেস্ট ও ১৬৬টি ওয়ানডে। এই অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল এত ভালো উইকেটকিপার হওয়ার পরও কেন তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ হলো না।
যার উত্তরে রশিদ বলেন, ‘আসলে ’৯০–এর দশকে, ওই সময়ে যা হয়েছিল, খুব খারাপ হয়েছিল। ফিক্সিংয়ের কারণে পাকিস্তান ক্রিকেটের বদনাম হয়ে গিয়েছিল। যদি লিগ্যাসির কথা বলি, ৯০–এর দশকের খেলোয়াড়দের চেয়ে বড় খেলোয়াড় পাকিস্তানে আসেনি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটের যে ক্ষতি ওরা করে গেছে, সেটা এখনো পোষানো যায়নি। এরপর যেসব ঘটনা (ফিক্সিং) ঘটেছে, সেগুলোও তাদের কারণেই হয়েছে। আপনি তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনেও যদি অবৈধ হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে দেশের ভালো হবে কী করে। আমিও সেই কেলেঙ্কারির সময়েরই একজন।’