রমজানে প্রকাশ্যে পানি পান, শামিকে সমালোচনায় কান না দেওয়ার পরামর্শ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে প্রকাশ্যে পানি পান করায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতীয় মুসলিম তারকা পেস বোলার মোহাম্মদ শামি।
কিন্তু সমালোচনায় কান দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় সাবেক তারকা ক্রিকেটার সহ অনেক সেলিব্রেটি। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন ভারতীয় চিত্রনাট্যকার, গীতিকার এবং কবি জাভেদ আখতার।
তিনি টুইটারে লেখেন, শামি সাহেব, দুবাইয়ের ক্রিকেট মাঠে জ্বলন্ত বিকেলে যারা আপনার পানি পান নিয়ে সমালোচনা করছে, তাদের সমালোচনায় কান দেবেন না। এটা তাদের কোনও ব্যাপার নয়। আপনি ভারতীয় দলের একজন তারকা ক্রিকেটার, আপনার পারফরম্যান্সে আমরা গর্বিত। আপনার এবং আমাদের পুরো দলের জন্য শুভকামনা।
রমজান মাসে দিনের বেলায় প্রক্যাশ্যে পানি পান করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শামিকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনা করেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামায়াতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বেরলভিও।
মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বলেছেন, রমজান মাসে মুসলিমরা রোজা রাখেন, এটি আল্লাহর নির্দেশিত একটি ফরজ কাজ। রমজান মাসে রোজা না রেখে প্রকাশ্যে পানি পান করা ওনার উচিত হয়নি। প্রকাশ্যে পানি পান করার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ তাকে দেখেছেন। উনি খেলছেন মানে উনি সুস্থ আছেন। সুস্থ থাকার পরও রোজা রাখেননি। যা মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে। শরীয়তের দৃষ্টিতে উনি অন্যায় করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ শামির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় সাবেক তারকা স্পিনার হরভজন সিং। তিনি বলেছেন, ‘আমি এই বিষয়ে নিতান্ত ব্যক্তিগত মতামত জানাতে পারি। হতে পারে আমার ধারণা ঠিক নয়। আবার আমার মতামত সঠিকও হতে পারে। খেলার জগতকে আলাদা রাখা উচিত। লোকে দৈন্দন্দিন জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিচরণ করেও ধর্মীয় কার্যাবলি পালন করতে পারেন। তবে এমন একটা পরিস্থিতিতে শামি অথবা রোহিত বা অন্য কারও সেটা পালন করবে, এমনটা আশা করা ঠিক নয়।’
ভাজ্জি আরও বলেছেন, ‘আপনি বাড়িতে বসে রয়েছেন বা অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত রয়েছে আপনার পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব। কিন্তু যখন আপনি খেলাধুলা করেন তখন অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সেই সময় পানি পান না করলে বা খাবার না খেলে খেলোয়াড়রা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এটা আপনার শরীর। শরীরের জ্বালানি দরকার হয়।’