
প্রতিযোগিতাটা কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ, মর্যাদায় যার তুলনা চলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে। তেমন এক প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বের খেলা চলছে লিওনেল মেসির দলের, তবে তাতে মেসি খেলছেন না, তার মানে কী দাঁড়ায়? মেসি নিশ্চয়ই বড় কোনো চোটে পরেছেন?
তবে ইন্টার মায়ামির প্রধান কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো লিওনেল মেসির ফিটনেস নিয়ে উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, আর্জেন্টাইন তারকাকে শুধুমাত্র সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলর প্রথম লেগে জ্যামাইকার ক্যাভালিয়ারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে মেসি মাঠে নামেননি।
ইন্টার মায়ামির কোচ বলেন, ‘আমি যা করি, তা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী। চিকিৎসকেরা আমাকে জানিয়েছেন যে, তার কোনো চোট বা চোটের দাগ নেই। ছয় দিনে তিনটি ম্যাচ খেলার কারণে, আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং আরও অনেক কারণে সে ক্লান্ত। যেহেতু আমরা তাকে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে চাই এবং ক্লান্তি যেন আর না বাড়ে, তাই তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মেসিকে ছাড়াও অবশ্য অনায়াসেই জিতেছে তার দল। চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলে ক্যাভালিয়ার মায়ামিকে চাপে রেখেছিল। বিরতির ঠিক আগে তারা একটি গোল করলেও, তা ভিএআর চেকের পর বাতিল হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মায়ামি আরও আক্রমণাত্মক হয় এবং ৬১তম মিনিটে তাদেও আলেন্দের গোলে লিড নেয়। ৮৩তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজ প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ভুল কাজে লাগিয়ে দলের দ্বিতীয় গোল করেন এবং জয় নিশ্চিত করেন।
১৩ মার্চ কিংস্টনে ফিরতি লেগে মেসি ফিরতে পারেন। তবে ক্যাভালিয়ারের প্রধান কোচ রুডলফ স্পিড তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে খেলতে এসেছি, মেসির বিপক্ষে নয়।’