Logo
Logo
×

খেলা

দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল মোহামেডান-আবাহনী

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল মোহামেডান-আবাহনী

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা এক বিন্দুতে এসে মিলে গিয়েছিল। আবাহনী আর মোহামেডান দুই দলই প্রথম ম্যাচে হেরে বসেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচও দুই দলের নিয়তি আলাদা হয়নি। দুই দলই পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আজ বৃহস্পতিবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ১৬২ রানে হারিয়েছে আবাহনী। মোহামেডান ৭ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে। দিনের অন্য ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংককে।

আবাহনীর ম্যাচের তারকা ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। সেঞ্চুরি করে দলকে এনে দিয়েছেন বড় স্কোরের ভিত। ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১২৪ বলে ১২৬ রান করেন ইমন। ৭২ রান করেন মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন ২৮ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন, শেষ দিকে মাহফিজুর রহমান খেলেন ১৪ বলে ২৮ রানের ইনিংস। 

আগের দিন আবাহনীকে হারিয়ে চমক দেওয়া গুলশান আজ বড় রান তাড়া করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে। অভিজ্ঞ লিটন দাসও কিছু করতে পারেননি তেমন। ২১ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। খালেদ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৪ বলে ৪৯ রান। আবাহনীর স্পিনার রাকিবুল ৪ ও পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন ৩ উইকেট। বিশাল জয়ে খাতা খোলে আবাহনী। 

মোহামেডানের ম্যাচে অবশ্য মাহমুদউল্লাহ খেলেননি আজ। পেশিতে টান লেগে তিনি ছিটকে গিয়েছিলেন আজকের ম্যাচ থেকে। আজ শুরুতে বোলিংয়ে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে বেধে রাখে ৯ উইকেটে ২২৩ রানে। জবাবে সাদা-কালোরা সে লক্ষ্য টপকে যায় ৭ উইকেট হাতে রেখে। রূপগঞ্জের ব্যাটাররা ফিফটিও করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তানভীর হায়দার।

জবাবে তামিম ইকবাল ১৪ ও রনি তালুকদার ৩৬ রান করে বিদায় নেন। ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আরিফুল ইসলাম। এরপর মোহামেডানকে আর পা হড়কাতে দেননি মাহিদুল ইসলাম ও তাওহিদ হৃদয়। ১০৬ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দুজনে। মাহিদুল করেন ৯৭ বলে ৮১, হৃদয় ওপাশে ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ৪৭ বলে করেন ৭৪ রান।

দিনের আরেক ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব আলাউদ্দিন বাবুর ব্যাটে চড়ে প্রাইম ব্যাংককে ৩ উইকেটে হারায়। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে প্রাইম ব্যাংক। দারুণ খেলেছেন শাহাদাত হোসেন ও শামীম হোসেন। তাদের ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ৬১ বলে ৬৪ ও ৬০ বলে ৬৯।

জবাবে পারটেক্স শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সাব্বির রহমান করেন ৪৩ বলে ৫৩, রুবেল মিয়া ৬৪ বলে ৪১ ও আহরার আমিনের ৩৬ বলে ৪৪ রানে ভর করে জয়ের পথে ছিল দলটা। 

তবে তাও পথটা সহজ ছিল না। ৬৭ বলে ৯৭ রান প্রয়োজন ছিল শেষ দিকে। সে কাজটা করে দেন আলাউদ্দিন বাবু। ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৩২ বলে করেন ৭৮ রান। তাতে পারটেক্স জেতে দুই ওভার হাতে রেখে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম