
আইসিসি নকআউটে আরও একবার ব্যর্থই হলেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মঙ্গলবার আউট হলেন মোটে ২৮ রান করে।
তবে আইসিসি নকআউটে তার এমন পারফর্ম্যান্স অবশ্য খুব অস্বাভাবিক নয়। আইসিসির সব ধরনের নকআউটে তিনি খেলেছেন ২২ ইনিংসে, করেছেন ৮০৮ রান। সব মিলিয়ে তার গড় ৪২ এর একটু ওপরে।
এই রান আর এই গড়ে অবশ্য একটা শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। এখানে বড় ইনিংস আছে স্রেফ দুটো, দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটা ফিফটি আছে, টি-টোয়েন্টির বিচারে বড় ইনিংসের কাতারে একেও যোগ করে ফেলা যায় চাইলে।
এই তিনটি ইনিংস বাদ দিলে রোহিতের রান দাঁড়ায় ১৯ ইনিংসে ৪৯০। তখন গড়টা নেমে আসে ২৭.২২ তে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে আইসিসির নকআউটে দ্রুত আউট হওয়াটা রোহিতের জন্য খুবই স্বাভাবিক।
যা তিনি আরও একবার দেখালেন আজ। ইনিংসের দ্বিতীয় আর তৃতীয় ওভারে তিনি আউট হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন দু’বার। প্রথমবার ন্যাথান এলিসের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন কুপার কনোলিকে। তিনি তা তালুবন্দি করতে পারেননি। এরপরের ওভারে আরও একবার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি, এবার ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া ফিল্ডারের নাম মারনাস লাবুশেন।
দুটো ‘জীবন’ পেয়েও তিনি শেষমেশ থামলেন ২৮ রান করে। তাতে ওয়ানডে ইভেন্টের নকআউটে ফিফটি না পাওয়ার আফসোসটা রোহিতের বেড়ে গেল ৮ বছরে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সবশেষ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসটা খেলেছিলেন তিনি।
সেটা এসেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। আইসিসি নকআউটে বাংলাদেশকে দুবার পেয়েছেন রোহিত। দুবারই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৩৭ আর অপরাজিত ১২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। গড়টাও তাই অতি-অতিমানবীয় ২৬০!
তবে বাংলাদেশ বাদ দিলে আইসিসির ওয়ানডে ইভেন্টে রোহিতের ফিফটিও নেই একটি। সে আক্ষেপটা আজও মিটল না ভারত অধিনায়কের।