
ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টি ঝুলিয়ে দিয়েছে দুটি দলের ভাগ্য। আরেকটু কাঁটছাট করে বললে—আফগানিস্তানের ভাগ্য এখন পেন্ডুলামের মতো দুলছে। লাহোরের মহারণ বেরসিক বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পরও আফগানদের বেঁচে আছে সেমির স্বপ্ন। তবে সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কয়েকটি কঠিন ও অবাস্তব সমীকরণ মিললেই তবে হবে হাসমতউল্লাহ শহিদীদের স্বপ্নপূরণ।
আফগানিস্তানের হাতে যা ছিল, তা তারা করে রেখেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এসেছিল লড়াকু পুঁজি। সেই লড়াইয়ে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। যা আফগানদের গভীর খাঁদে ফেলে দিয়েছে। এখনও কয়েকটি অঙ্ক আছে যদিও।
তবে সেটির জন্য হাসমতউল্লাহ শহিদীদের তাকিয়ে থাকতে হবে করাচিতে। আজ বিকাল তিনটায় দক্ষিণ আফ্রিকা লড়বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে গেলে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বাদ পড়বে আফগানিস্তান। ম্যাচটি পণ্ড হলেও তারা বিদায় নেবে। অন্যথায় প্রোটিয়াদের হারতে হবে বিশাল একটি ব্যবধানে।
সেই ব্যবধানও হতে হবে অসম্ভব রকমের। নেট রানরেটে অনেক এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের মতো তাদেরও এখন তিন পয়েন্ট। যদি তারা হারে এবং কয়েকটি অঙ্ক মেলে, তবেই বাদ পড়বে প্রোটিয়ারা। সেমির স্বপ্নপূরণ করবে আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাব্য কয়েকটি পরিস্থিতি বেঁচে আছে আফগানদের—
* করাচিতে আজ যদি ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে। তাহলে তাদের ২০৭ রানের ব্যবধানে জিততে হবে (শর্ত হল, ম্যাচটি পূর্ণ ৫০ ওভারের হতে হবে)।
* প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করলে তাদের অল্প রানে গুটিয়ে যেতে হবে। এবং সেটিও খুব দ্রুত পার করতে হবে ইংল্যান্ডকে। যেমন—৫০ রানে অলআউট হলে ইংল্যান্ডকে ৫.৪ ওভারে ম্যাচটি জিততে হবে। ৭৫ রানের লক্ষ্য হলে ৭.৬ ওভারে করতে হবে। যা সত্যিই অসম্ভব।
* যদি দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে, তাহলে ইংল্যান্ডকে চেজ করার আরও একটি অঙ্ক— ১৭৩ রান ১৫ ওভার। প্রোটিয়াদের ১৫৭ রান টপকাতে হবে ১৪ ওভারে।
* যদি দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ফিল্ডিং করে, তাহলে তাদের ২০৭ রানের বেশি ব্যবধানে হারতে হবে।
এই গ্রুপে এখন নেটরান রেটও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই এমন জটিল সমীকরণ। যা মোটাদাগে আফগানদের বিপক্ষে। তবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা বাড়ছে।