
প্রিন্ট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ পিএম
টিকে থাকার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
-67c1add22685f.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বাঁচামরার ম্যাচে বড় স্কোর গড়ার চ্যালেঞ্জ ছিল আফগানিস্তানের সামনে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঠিক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না আফগান ব্যাটাররা। সেদিকউল্লাহ আতাল এবং শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের লড়াকু দুই ফিফটিতে তবু লড়াইয়ের রসদ পেয়েছে দলটি। ৫০ ওভারে সব উইকেট খুইয়ে ২৭৩ রানে থেমেছে আফগানরা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। তবে প্রথম ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ রানের খাতা না খুলেই সাজঘরের পথ ধরলে সে সিদ্ধান্ত কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়ে। আফগানদের ইংলিশ-বধের নায়ক ইবরাহিম জাদরানও এদিন আস্থা জোগাতে পারেননি। ২২ রান করে কাবু হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণিতে।
তিনে নেমে আফগান ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন তরুণ সেদিকউল্লাহ আতাল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। ফিফটির পর আক্রমণের গতি বাড়ান সেদিকউল্লাহ, জাম্পা-ম্যাক্সওয়েলদের শাসন করে ছুটছিলেন তিন অঙ্কের দিকে।
কিন্তু তার সে যাত্রায় বাধ সাধেন স্পেনসার জনসন। এই অজি পেসারের গুড লেংথে পড়া বল বেখেয়ালে হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলেন সেদিকউল্লাহ। কাভারে দাঁড়ানো অজি অধিনায়ক স্মিথ কিছুটা সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ তালুবন্দি করেন। ফেরার আগে এই ২৩ বছর বয়সি ব্যাটারের খেলা ৮৫ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার।
সেদিকউল্লাহ ফিরতেই ধস শুরু হয় আফগান ব্যাটিং লাইনআপে। এরপর ৪৯ বলে ২০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। আর ক্রিজে আসতে না আসতেই রানআউটের ফাঁড়ায় পড়েন মোহাম্মদ নবী (১)।
শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ফিফটিতে আড়াইশ ছাড়ানোর সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান। শেষ ওভারে ডোয়ারশুইসের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রান আসে তার ব্যাটে।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন ডোয়ারশুইস, দুটি করে উইকেট গেছে জাম্পা ও জনসনের ব্যাটে।
ঘটনাপ্রবাহ: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫
আরও পড়ুন