আরও ডট বল হলেও সমস্যা ছিল না: কোচ সালাউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৩ পিএম

‘স্নুজফেস্ট’ বা ‘ঘুমপাড়ানি ক্রিকেট’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু মন্থর ব্যাটিং দেখলেই ক্রিকেটভক্ত নেটিজেনদের টিপ্পনী কাটতে দেখা যায় এই শব্দটি দিয়ে। তবে সে স্নুজফেস্ট অন্যদের বেলায় যেমন তেমন, বাংলাদেশের ম্যাচ এলেই যেন অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। ভারত ম্যাচেও এমন কিছুর দেখা মিলেছে, মিলেছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ ডট দিয়েছিল ১৫৯ বলে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশের ডটের সংখ্যা বেড়েছে আরও। সেদিন ১৮১ বলে কোনো রান নিতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে ৩৪০ বল ডট দিয়েছেন শান্তরা।
আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ডটের সংখ্যা কম রাখাটা খুবই জরুরি, বিশেষত যখন আপনার কাছে গায়ের জোরে বল বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলার ক্ষমতা কম থাকে, তখন। বাংলাদেশ দুই জায়গাতেই বেশ পিছিয়ে।
অনেক দিন ধরেই ডট দেওয়ার প্রবণতা দলকে ভোগাচ্ছে বেশ করে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সে ধারাটা বদলায়নি। এ বিষয়ে পাকিস্তান ম্যাচের আগে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেও ধেয়ে গিয়েছিল প্রশ্ন।
জবাবে তিনি খানিকটা কূটনীতির আশ্রয়ই নিলেন। তিনি জানান, আরও বেশি ডট খেললেও সমস্যা ছিল না। বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের সমস্যাটাকে তিনি স্রেফ নিউজিল্যান্ড ম্যাচেই সীমাবদ্ধ করে ফেললেন।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি ডট বল আরও কিছু খেলত, তাহলেও আমার কোনো সমস্যা ছিল না। কারণ আমাদের রান রেট কিন্তু ঠিকই ছিল। ২০ ওভারে ৯৭ রান ছিল। আমরা খুব ভালো অবস্থানেই ছিলাম। সেখান থেকে যখন উইকেটগুলো পড়ে গেছে, তখন আসলে আমরা রানের গতি বাড়ানোর সুযোগ পাইনি।’
তিনি জানান, দ্রুত উইকেট খুইয়ে কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। তিনি বলেন, ‘ডট বল আপনি খেলতে পারেন, আমাদের রান রেটটা কেমন ছিল সেটাও একটা বিষয় হতে পারে। ২০ ওভারে আমাদের যদি ৬০ রান থাকত, তাহলে আমরা বলতাম যে না খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম। যে পরিস্থিতিতে ছিলাম ২০ ওভারে ৯৭, ওই অবস্থায় যদি ১০টা ওভার খেলা যেত, তাহলে ৩০ ওভারে ১৫০ হয়ে যেত, সেখান থেকে বড় রান করা কঠিন কিছু হতো না। যা বললাম যে, মিডল ওভারে উইকেট পড়ে গেলে সেখান থেকে রানের গতি বাড়ানোটা কঠিন হয়ে যায়।’
এক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্ব দিলেন নিউজিল্যান্ড দলকেই। যদি ভবিষ্যতে ডট কম দেওয়ার চেষ্টাটা দলের মাঝে দেখতে চাইলেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করব যে মাঝের ওভারে যেন ডট বল কম থাকে। তাহলে যে কোনো দলের জন্যই কাজটা সহজ হয়। দলের এবিলিটি যে নেই, তা না। এখানে নিউজিল্যান্ডের বড় কৃতিত্ব দিতে হবে, এই ধরনের উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, কীভাবে ফিল্ড সেটাপ করতে হবে, তারা সেটা করেছে। সে কারণে আমাদের ডট বলের সংখ্যা বেড়ে গেছে।’