এবার বৃষ্টি কপাল পোড়াবে কার, অস্ট্রেলিয়া না দ. আফ্রিকার?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

বাংলাদেশের ইতিহাসে আইসিসি ইভেন্টে সেরা সাফল্য কোনটা? প্রশ্নের উত্তরে অবধারিতভাবেই আসবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা। তবে সেবার বাংলাদেশের পক্ষে সৌভাগ্যও কাজ করেছিল, মনে আছে?
তাহলে এবার আসা যাক অন্য প্রশ্নে। সেবার বৃষ্টিতে কপালটা পুড়েছিল কার? উত্তর– অস্ট্রেলিয়ার। যে কারণে এবারের আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়টা হয়ে গেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০০৯ সালের পর প্রথম জয়, মাঝের দুই আসরে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি দলটা।
সেই অস্ট্রেলিয়া আরও একটা ম্যাচে বৃষ্টির কবলে পড়ল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা মাঠেই গড়াতে পারল না। বিকেল থেকে ম্যাচটা হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ বৃষ্টির কারণে টসই হতে পারেনি। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলো ম্যাচটাকে।
এই পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে দুই দল পেল সমান একটি করে পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়া দুই দলেরই পয়েন্ট ৩, এক জয় আর একটি ভাগাভাগির পয়েন্ট নিয়ে। তবে শ্রেয়তর নেট রান রেটের কারণে প্রতিযোগিতার বি গ্রুপের শীর্ষে রইল প্রোটিয়ারা।
বৃষ্টির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বৈরিতাটা এই বছর আটেক আগের গল্প। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এ শত্রুতাটা আজকের নয়, ১৯৯২ সাল থেকে শুরু, সেবার বৃষ্টি আর তা সম্পর্কিত আইসিসির অদ্ভুতুড়ে আইন ১৩ বলে ২২ থেকে ১ বলে ২২ রানে নামিয়ে আনে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যটা। ফলে সেমিফাইনাল থেকে অদ্ভুত আইনের বলি হয়ে বাদ পড়তে হয় দলটাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এরপরও ২০০৩ বিশ্বকাপে বৃষ্টি আর তার আগে নিজেদের হিসেবের ভুলে বাদ পড়ে সুপার সিক্স থেকে। ২০১৫ বিশ্বকাপে অতটা সরাসরি না হলেও সেবার বৃষ্টিতে দলটার ব্যাটিংয়ের ছন্দ পড়ে গিয়েছিল খানিকটা, পরে যা দলটার হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তো বৃষ্টির কারণে বাদ পড়েছিল দলটা। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ৭ ওভারে ৬৪ রানের লক্ষ্যে কুইন্টন ডি কক রান তুলছিলেন ওভারপ্রতি ১৭ করে। কিন্তু দলটা যখন জয় থেকে আর এক ওভারের দূরত্বে, তখন নামে বৃষ্টি। ম্যাচটা হয় পরিত্যক্ত। পরে দেখা যায় এই একটা পয়েন্টই দলটাকে সেমিফাইনালে উঠতে দেয়নি।
সে বৃষ্টি আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে বাগড়া দিল। তখন তো পুরোনো সব কথা মনে পড়ে যাওয়াটা খুব সম্ভবই। আজ না পাওয়া একটা পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়ার কারো পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতেই পারে। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ম্যাচটাও যদি জিতে যায়, তাহলে কপাল পুড়ে যেতে পারে আজকের দুই দলের কোনো একটির। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা নাকি অস্ট্রেলিয়া হবে, কিংবা আদৌ তেমন কিছু হতে দেবে কি না এই দুই দল, তা সময়ই বলে দেবে।