তিন ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি, এ যেন সেঞ্চুরি উৎসব

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২ এএম
-67b949f9d95bf.jpg)
দুবাই ও করাচিতে তিনদিনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে পাঁচটি। ছয়টি হতে পারত। যদি রহমত শাহ ৯০ রানে না থামতেন। শুক্রবার পঞ্চম শতক এলো দক্ষিণ আফ্রিকার রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে। তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির হাত ধরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা স্কোর বোর্ডে ৩১৫ রান জমা করে ছয় উইকেট হারিয়ে। টুর্নামেন্টে এটি দ্বিতীয় ৩০০-র বেশি রানের ইনিংস। উদ্বোধনী ম্যাচে ৩২০ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের বিপক্ষে।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কাল টসজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার হৃষ্টপুষ্ট ইনিংসের মূলে সেঞ্চুরিয়ান রিকেলটন ছাড়াও রয়েছেন তিন হাফ সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৫৮), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (৫২) ও আইডেন মার্করাম (৫২)। এর মধ্যে মার্করাম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্রুততম ফিফটি করেন ৩৩ বলে। ডুসেন ফিফটি করে ফর্মে ফিরলেন। ৩১৫/৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বশেষ ৩১৬/৫ তারা করেছিল কেনিয়ার বিপক্ষে কলম্বোয়, ২০০২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সেঞ্চুরি করা পঞ্চম ব্যাটার রিকেলটন। এর মধ্যে হার্শেল গিবস সর্বোচ্চ তিনটি এবং গ্রায়েম স্মিথ, জ্যাক ক্যালিস ও হাশিম আমলা একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। রিকেলটন প্রথম প্রোটিয়া ব্যাটার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় উইকেটে রিকেলটনের সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি গড়া বাভুমা নিজের ষষ্ঠ ওয়ানডে ফিফটি করেন। আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী নেন দুই উইকেট।
৩১৬ তাড়া করে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো আফগানিস্তানকে। শেষ ব্যাটার হিসাবে রহমত শাহ আউট হলে আফগানরা থামে ২০৮ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করল ১০৭ রানের বড় জয় দিয়ে। ৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান ছিটকে পড়েছিল ম্যাচ থেকে। ৯২ বলে ৯০ রান করে দলকে ২০০ পার করান রহমত। আফগানিস্তানের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসাবে নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হন তিনি। তিনটি উইকেট নেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। ম্যাচসেরা হন নিজের সপ্তম ম্যাচে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাওয়া রায়ান রিকেলটন।