হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড জুটি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৮

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম

জাকের আলিকে নিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৮ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চলতি আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও সম্মানজনক স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
৮.৩ ওভারে প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত আড়াইশর দোরগোড়ায় নিয়ে যান তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি।
এদিন তারা ২০৬ বল মোকাবেলা করে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন। এটা শুধু বাংলাদেশ দলেরই ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিই নয়, ভারতের বিপক্ষে যে কোনো দলের এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এই উইকেটে সর্বোচ্চ।
এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ ১৩১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যান জাস্টিন ক্যাম্প ও মার্ক বাউচার। আর বাংলাদেশের পক্ষে এ উইকেটে সর্বোচ্চ ছিল গত ডিসেম্বরে সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জাকের–মাহমুদউল্লাহর ১৫০*।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.৩ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে প্রথমসারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় টাইগাররা।
দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরেন মিডলঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক ও তাওহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ২০৬ বল মোকাবেলা করে ১৫৪ রানে জুটি গড়েন।
মূলত জাকের আলি অনিক ও তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চাপ সামলিয়ে সম্মানজনক স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
একটা সময়ে মনে হয়েছিল টার্গেট আড়াইশ ছাড়িয়ে যাবে; কিন্তু দলীয় ১৮৯ রানে জাকের আলি অনিক ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলে রানের গতি স্লথ হয়ে যায়।
এরপর তাওহিদ হৃদয় উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ব্যাটিংয়ে নেমে মারকাটিং ব্যাটিংয়ে ২টি ছক্কা আর এক চারের সাহায্যে ১৮ রান করে আউট হন। এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেননি তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদরা।
ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে মোহাম্মদ শামির পঞ্চম শিকারে পরিণত হয়ে তাওহিদ হৃদয় সাজঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের ইনিংস। তার আগে ১১৮ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে তাওহিদ হৃদয়।
১১৪ বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৮ রান করে ফেরেন জাকের আলি অনিক। ২৫ বলে ২৫ রানে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মোহাম্মদ শামি দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেই ঝলক দেখাল। তিনি একাই গুঁড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ। শামি ১০ ওভারে মাত্র ৫৩ রান খরচ করে ৫ উইকেট নিয়ে একাই বাংলাদেশ দলকে ধসিয়ে দেন।