
কিউইদের বিপক্ষে সবশেষ তিন ওয়ানডের সবকয়টি হেরেছে পাকিস্তান— ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের দুর্ভাগ্যই বটে। ২৯ বছর পর আইসিসির টুর্নামেন্ট ফেরার দিনটিও রাঙাতে পারেনি। উল্টো ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানদের হারটাও এসেছে বড়। হতশ্রী পারফর্মের দায় দুটি দিকে চাপিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
রিজওয়ান নিজেও এদিন ব্যর্থ হয়েছিল। জোড়া সেঞ্চুরিতে করাচিতে উদ্বোধনী ম্যাচ মাতিয়ে ছিল কিউইরা। উইল ইয়াংয়ের পর টম ল্যাথাম গড়ে দেন তিনশ ছাড়ানো পুঁজি। ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান থামে ৬০ রান পেছনে, সব উইকেট হারিয়ে আনে ২৬০ রান। তাতেই বাজে হারে শুরু হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
এমন হারের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক দায় চাপিয়েছেন ডেথওভারের বোলিং এবং পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ের দিকে। রিজওয়ান বলেছেন, ‘ইয়াং-ল্যাথামের পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চেষ্টা করেছি আমরা, কিন্তু তারা দারুণভাবে সেটার জবাব দিয়েছে। সে কারণেই বড় সংগ্রহ পেয়েছে। আমরা দুইবার মোমেন্টাম হারিয়েছি। প্রথমে ডেথে তার পর ব্যাট হাতে পাওয়ার প্লেতে।’
ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান ফখর জামান। তাতে ব্যাটিং অর্ডারেও বদল আসে পাকিস্তানের। সাউদ শাকিলকে নিয়ে উদ্বোধন করতে নামেন বাবর আজম। মাত্র ৬ রান করতে পারেন শাকিল। ফখর চার নম্বরে নেমে করেন ২৪। তবে বড় লক্ষ্যে তা স্রেফ ব্যবধানই কমিয়েছে। ব্যাটিং পজিশন নিয়েও বলেছেন রিজওয়ান, ‘৩২০ প্লাস স্কোর থাকলে তখনই মোমেন্টাম নেওয়ার সুযোগ। ফখর জামানকে ওপেনিংয়ে পাওয়াটা আমাদের জন্য ভীষণ জরুরি ছিল। কারণ সবাই জানে পাওয়ার প্লেতে সে কীভাবে ব্যাট করে।’
তবে হাল ছাড়ছে না পাকিস্তান। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারা লড়বে ভারতের বিপক্ষে। ওইদিন হারলেই ছিটকে যাবে রিজওয়ান ব্রিগেড। এরপর পাকিস্তান লড়বে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের কমপক্ষে দুটি জিততে হবে, অন্যথায় শেষ চারে যেতে পাকিস্তানকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের ম্যাচে। রিজওয়ানরা সেটা চায় না, তারা বাকি দুটি ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চান।