স্লো নাকি ব্যাটিংবান্ধব—কেমন হবে দুবাইয়ের পিচ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

ছবি: সংগৃহীত
পিচগুলোর একদমই বিশ্রাম নেই। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কদিন আগে বসেছে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ বসেছে, তারপর আইএল টি-২০ এবং এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। স্বভাবতই পিচ ঠিক থাকার কথা না। তবে মাঠটির প্রধান কিউরেটর ম্যাথু স্যান্ডেরি আশ্বাস দিয়েছেন, সেরা ওয়ানডে পিচ হবে।
দুবাইয়ের পিচ তৈরির জন্য দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছেন মাঠকর্মীরা। ভারতের গণমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছিল, মাঠটিতে ১০টি উইকেট আছে। সেখানের দুটি রেখে দেওয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য। ওই দুটিতেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বাকি ম্যাচ। আজ বিকাল ৩টায় এই মাঠে ভারতের বিপক্ষে নামবে নাজমুল হোসেন শান্ত ব্রিগেড।
আরব আমিরাতের এই মাঠটি সাধারণত একটু স্লো। তবে অনেকদিন অব্যবহৃত হওয়া এবং আইসিসির টুর্নামেন্ট বিবেচনায় এখানে রান বেশি উঠতে পারে। তেমন কিছুরই ইঙ্গিত টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শুনিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর স্যান্ডেরি, ‘পিচ নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। দুবাইয়ের আবহাওয়া মাথায় রেখে সেরা উইকেট বানিয়েছি। আমরা উচ্ছ্বসিত এখানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড খেলবে। ভারত-পাকিস্তান মহারণও এখানে বসবে—অজি কিউরেটর হিসেবে আমি সেসব ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে আছি।’
পিচের কন্ডিশন কেমন হবে—স্লো-লো নাকি ব্যাটিংবান্ধব, স্যান্ডেরি ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘যে উইকেটগুলোতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা হবে, আইএলটি টোয়েন্টির শেষ ম্যাচের পর সেগুলো স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছে। দুবাইয়ে সম্ভাব্য সেরা পিচ ও কন্ডিশন রাখার চেষ্টা করব। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, সারা বিশ্বে ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য যেমন পিচ প্রত্যাশা করা হয়, এখানকার পিচও তেমন উপযোগী থাকবে।’
দুবাইয়ের এই মাঠটিতে সবশেষ ওয়ানডে খেলা হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে লড়েছিল কানাডা। এখানে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ৫৮ ম্যাচ খেলা হয়েছে, তবে চারবারের বেশি ৩০০ বা তার বেশি রান জমা করতে পারেনি কোনো দল। অর্থাৎ শুরুতে ব্যাটিং করা দল পড়বে প্রতিপক্ষ বোলারদের তোপে। সেক্ষেত্রে টস বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে।
শান্ত ব্রিগেডদের লম্বা বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে ভারতকেও বেশ ভুগতে হবে। অন্যদিকে ভারতের স্পিনে কাবু হতে পারে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। মোটকথা, রান প্রসবা উইকেট হয়ত দুবাইয়ে দেখা যাবে না।