
টি-টোয়েন্টির আবির্ভাব পাল্টে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার হিসেব নিকেশ। তারই এক বাজারি সংস্করণ হলো ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পর থেকেই জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে। আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে আইপিএলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি।
আইপিএলকে বলা হয় কোটিপতি লিগ। যে কারণে আইপিএলে খেলা এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে স্বপ্নের মতো। এই লিগে চান্স পাওয়া মানেই কোটিপতি বনে যাওয়ার মতো অবস্থা। যারা আইপিএলে চান্স পেয়ে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করতে পেরেছেন তারা রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি।
এই আইপিএলের পুস্কারস্কার মূল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তুলনা মানে হলো- এক আইপিএল সমান ১০ বিপিএল। তার মানে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে যে প্রাইজমানি পেয়ে থাকে, তা বিপিএলের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ।
সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফরচুন বরিশাল পেয়েছে আড়াই কোটি টাকা। অথচ গত বছর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, এখন থেকে ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬.৭২ কোটি টাকা। অথচ বিপিএলের ১১তম আসরেও আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়ে কম টাকা দেওয়া হয়েছে।
শুধু চ্যাম্পিয়ন দলের তুলনাই নয়, রানার্সআপ দলের ক্ষেত্রেও আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ২০২৪ সালে আইপিএলে রানার্সআপ হয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পেয়েছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮.২ কোটি টাকা। অথচ গত শুক্রবার শেষ হওয়া বিপিএলের ১১তম আসরে রানার্সআপ হয়ে চিটাগং পেয়েছে মাত্র ১.৫ কোটি টাকা।
শুধু বিপিএল নয়, পুরস্কারমূল্যের নিরিখে আইপিএলকে টেক্কা দিতে পারেনি ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিও ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগও।
২০২৫ সালে ইন্টারন্যাশলান টি-টোয়েন্টি লিগে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮.৫১ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ দল পেয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩.৬৪ কোটি টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২.৪ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ দল পেয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০.৭ কোটি টাকা।