-67a82432216c6.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন না সাবিনা খাতুনরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুশীলনে নামার আহ্বানে সাড়া দেননি তারা। বিদ্রোহী ফুটবলারদের অনুশীলনে চান না কোচও। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঘোর সংকটে নারী ফুটবল। সূত্রে জানা গেছে, নিরুপায় বাফুফে সভাপতি শেষ পর্যন্ত বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির ওপর। এই সপ্তাহে এক সভায় মেয়েদের বিষয়ে আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
গত বুধবার বাফুফে সভাপতি দেশে ফিরে সিনিয়র ফুটবলারদের অভিযোগ শোনেন। তিনি বাটলারের অধীনেই শনিবার থেকে অনুশীলন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদ্রোহে জড়িত প্রথম ছয়জনকে বাইরে রেখে। কিন্তু বাটলারের অনুশীলনে অংশ নেননি বিদ্রোহী ১৮ সিনিয়র ফুটবলার। সকালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠে এবং বিকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নতুনদের নিয়ে হয়েছে রুদ্ধদ্বার অনুশীলন।
সাবিনাদের অনড় অবস্থানে হতভম্ব মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার। কাল দুপুরে বাফুফে ভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘এই মেয়েদেরকে আমি অনূর্ধ্ব-১২ টুর্নামেন্ট থেকে গড়ে তুলেছি। আমার বিশ্বাস, তারা অনুশীলনে ফিরবে। যদি তা না হয় সিদ্ধান্ত সভাপতি নেবেন।’ ২৪ ফেব্রুয়ারি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে আরব আমিরাতে যাবে নারী ফুটবল দল। দল কবে ঘোষণা করা হবে? বেলা সোয়া ৩টায় অনুশীলনে যাওয়ার আগে বাটলারকে প্রশ্ন করতেই তার উত্তর, ‘যখন সময় হবে তখন। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতের জন্য আমরা নতুন দল গঠন করছি।’
বিদ্রোহীরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বাফুফের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেল। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পাঁচ-ছয় জনকে শাস্তি (বাধ্যতামূলক ছুটি) দিলে বাকিরাও ক্যাম্প ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। এই ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য।
বাফুফে কোচের পক্ষে থাকলে এবং ১৮ ফুটবলার অনুশীলন বর্জন অব্যাহত রাখলে নারী ফুটবল দল বড় সংকটের মধ্যে পড়বে। সংকট নিরসনে দ্রুত নির্বাহী কমিটির সভা ডাকছেন বাফুফে সভাপতি। সেখানেই বিশেষ তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চান তাবিথ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক সদস্য জানিয়েছেন, সভাপতি চেষ্টা করেছেন দুই পক্ষকে ম্যানেজ করে সমস্যা সমাধানের। কিন্তু কোচ ও মেয়েরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে মেয়েদের যেমন দায় আছে, তেমনি বাফুফের নারী উইংও দায় এড়াতে পারে না। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে কোচের সংবাদমাধ্যমে কথা বলাও পছন্দ করেননি সভাপতি। সবার মতামত নিয়েই এগোতে চান তাবিথ আউয়াল।