যারা অনুশীলনে আসেনি তাদের নিয়ে ভাবছি না: বাটলার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলারের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিরোধ এখন চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এমন যে, দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কোচের বিরুদ্ধে। এর জেরে তারা অনুশীলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। শনিবারও তারা অনুশীলনে যাননি, যা দেশের নারী ফুটবলে বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, সিনিয়রদের অনুপস্থিতি আমলে না নিয়ে কোচ বাটলার জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তিনি অনূর্ধ্ব-২০ দলের ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলন করেন এবং দুপুরে তাদের নিয়েই জিম সেশন পরিচালনা করেন। অনুশীলনে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন শাহেদা আক্তার রিপা, আফঈদা খন্দকার, আইরিন আক্তার, কোহাতি কিসকু, স্বপ্না রানী, ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা, হালিমা আক্তার, আকলিমা, মুনকি আক্তার, প্রান্তী, সুরমা ও সুরভী আক্তার প্রীতি।
অনুশীলন শেষে কোচ বাটলার বলেন, ‘পেশাদার মনোভাব নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। যারা অনুশীলনে আসেনি তাদের নিয়ে ভাবছি না। অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনে এসেছে। আমি আশাবাদী, সামনে তারাই দেশকে সার্ভিস দেবে।’ তার এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি সিনিয়রদের বিকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন।
নারী ফুটবল দলের চলমান সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিষয়টি তদন্ত করছে। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘আমি আজও (গতকাল) নারী ফুটবলারদের অনুরোধ করেছি ফুটবল ও দেশের স্বার্থে বয়কট প্রত্যাহার করার জন্য।’
বিতর্কের সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার, যখন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ ১৮ জন সিনিয়র নারী খেলোয়াড় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাটলার কোচ থাকলে তারা গণঅবসরে যাবেন। এরপর বাফুফে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। মাহফুজা আক্তার জানান, ‘আজও (গতকাল) মেয়েদের সঙ্গে বসেছি। তাদের বুঝিয়েছি। সভাপতিও কাজ করছেন। তিনি এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, ভালো কিছুই হবে।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিদ্রোহ ও কোচের কঠোর অবস্থানের মধ্যে সমাধান কীভাবে আসবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।